বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের ৩০টি বাছাইকৃত পৌরসভার পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সেবার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ব্যাপারে ৬ অক্টোবর রাজধানীর শের-এ-বাংলা নগরে ইআরডি কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।’
ইআরডি’র এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ ও বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান শাখার কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বোন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। পৌরসভা পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পটি’ ছোট শহরগুলোতে বসবাসরত প্রায় ৬ লাখ মানুষের নিরাপদ পানি সরবরাহে সহায়তা করবে। পাইপের মাধ্যমে এই পানি সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে বাছাইকৃত ৩০টি পৌরসভায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট ফ্যাসিলিটি, জলাধার, সরবরাহ পাইপ নেটওয়ার্ক, বাড়িতে মিটার সংযোগসহ পানি সরবরাহের জন্য বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করবে। এই পৌরসভাগুলোতে বর্তমানে পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই।’
বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশের প্রায় ৮৭ শতাংশ বাড়িতে বিভিন্ন উন্নতমানের পানির উৎস রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাইপের মাধ্যমে পানি পাচ্ছে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ। প্রায় অর্ধেক পৌরসভারই মৌলিক পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এই পাইপের মাধ্যমে সেসব শহরের জনসংখ্যার মাত্র একটি ছোট অংশ পানি পায়। নগরের কেন্দ্রস্থানের বাসিন্দারাই এই সুবিধা ভোগ করে। বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ)’র এই ঋণের মেয়াদ ৩০ বছর। এই ঋণের সুদের হার ১.২৫ শতাংশ ও সার্ভিস চার্জ ধরা হয়েছে ০.৭৫ শতাংশ।
এই প্রকল্পে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ১০ কোটি মার্কিন ডলার ও বাংলাদেশ সরকার ৯৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দেবে। প্রকল্পটি বাছাইকৃত পৌরসভাগুলোর স্যানিটেশন ও ড্রেইনেজ সিস্টেমের উন্নয়নেও সহায়তা করবে। প্রকল্পটি আওতায় থাকছে, সেপটেজ ব্যবস্থাপনা, পাবলিক টয়লেট ও বিশেষ ড্রেইনেজ অবকাঠামো নির্মাণ।
প্রকল্পটির আওতায় পরিচ্ছন্নকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হবে। বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পানি বিশেষজ্ঞ আরিফ আহমেদ বলেন, ‘পানি ও স্যানিটেশন সেবার জন্য পৌরসভাগুলোর কার্যকরী সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের সক্ষমতা থাকবে।’
বাসস