নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নির্বাচনগুলোতে বড় একটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন না হওয়াতে প্রার্থীরাও ভোটারদের কাছে যায়নি। এ কারণে ভোটারদের কাছে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম। ভোট প্রদানে কেন আগ্রহ কমছে, তা নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের মানুষকে আস্থাহীন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এখন সারা পৃথিবীর মানুষ আস্থাহীনতায় ভুগছে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে এগিয়ে।
তিনি বলেন, মানুষের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। পিতা সন্তানকে বিশ্বাস করে না। সন্তান পিতার প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না। এই আস্থাহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের মানুষের কাছে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশে সব নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করার মধ্য দিয়ে আস্থা ফিরিয়ে আনার কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রংপুর সরকারি কলেজে রংপুর-৩ আসনের উপ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান, যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান, রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রংপুর-৩ আসনের উপ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ভোটকেন্দ্র থেকে কোনো এজেন্টকে বের করে দেয়া হলে, কেন্দ্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, ভোটারদের বাধা প্রভাবিত কিংবা বাধা দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তার আগে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম রংপুর সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজে ভোটারদের মাঝে ভোটগ্রহণে ব্যবহৃত ইভিএম প্রদশর্নী পরিদর্শন করেন।
ইভিএম প্রসঙ্গে রফিকুল ইসলাম বলেন, বগুড়ার উপ-নির্বাচনেও তো ইভিএম ছিল। বিএনপি সেখানে জয়ী হয়েছে। তখন তো ইভিএম নিয়ে কোনো কথা ওঠেনি। আশা করছি, রংপুর নিয়েও কারো কোনো কথা বলার সুযোগ থাকবে না।