ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জন নিহত ও অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা ধসে পড়েছে। স্থানীয় সময় ২৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভোরে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ মালুকু ভূমিকম্পের কবলে পড়ে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, মালুকু প্রদেশের রাজধানী আমবোন থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। তবে ভূমিকম্প সুনামিতে রুপ নেয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে দেশটির জিওফিজিক্স এজেন্সি।
দেশটির গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, যখন ভূমিকম্পটি শুরু হয় তখনও অনেক মানুষ ঘুমাচ্ছিলেন। আচমকা কম্পনে স্থানীয় বাসিন্দারা বিছানা ছাড়ে। আতঙ্কিত মানুষজন ঘরের বাইরে বের হয়। সুনামির আশঙ্কা করে তারা আশপাশের পাহাড়ি এলাকার দিকে ছুটতে থাকে।
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আলবার্ট সিমায়েলা বলেন, আতঙ্কিত হয়ে দৌঁড়ানোর সময় ভবন ধসে এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী আমবোনের প্রধান একটি হাসপাতালও ধসে পড়েছে। সেখানকার রোগীদের ভবন থেকে বের করে হাসপাতালের মাঠে রাখা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থানা সংস্থার মুখপাত্র অগাস উইবোয়ো রাজধানী জাকার্তায় এক সংবাদ সম্মেলনে ভূমিকম্পে ২০ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সের সাংবাদিক জানান, যে যেভাবে পারে পাহাড়ের দিকে ছুটছেন। সবাই চলে যাওয়ায় গোটা শহর শান্ত। সুনামি হবে না শুনেও মানুষ আতঙ্কিত।
গত বছর মালুকু প্রদেশে অবস্থিত সুলাওয়েসি দ্বীপ ৭ দশমিক ৫ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে পড়ে। ভূমিকম্পের পরপরই সেখানে আঘাত হানে সুনামি। সব মিলিয়ে মোট চার হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।