বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ দুর্নীতির ভারে সরকারের পতন হবে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমরা সকল মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের হিসাব দেখতে চাই। সেই হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মওদুদ আহমেদ বলেন, মন্ত্রী-এমপি হওয়ার আগে তাদের কত সম্পদ ছিলো আর এখন কত সম্পদ আছে, তা আমাদের দেখা দরকার। কারণ, দেশের মানুষ এই সরকারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে গেছে- এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, সরকার দুর্নীতি সামাল দেওয়ার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। যতভাবেই বলুক না কেন তারা অভিযান চালাবে কিন্তু অভিযান সফল হবে না। অভিযান সফল করতে হলে ছাত্রলীগের শোভন-রব্বানী আর যুবলীগের শামীম-সম্রাটদের পেছনে যে মন্ত্রী-এমপিরা আছে তাদেরকে সনাক্ত করতে হবে।
মওদুদ আহমেদ বলেন, এই দুর্নীতি নিবারণ করা সম্ভব হবে না। কারণ, সরকারের অঙ্গ পতঙ্গের দুর্নীতি ঢুকে গেছে। সরকার দুর্নীতিতে ডুবে আছে। তাদের উচিত হবে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আর সেটা যদি তারা না করেন, তবে এই দুর্নীতির ভারে সরকারের পতন বাধ্য।
খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে মওদুদ আহমেদ বলেন, উনি এক বছর ৭ মাস হয়ে গেল জেলখানায় আছেন। বিরোধীদলীয় নেত্রী বলে তিনি জেলে আছেন। দুই কোটি টাকার একটা মিথ্যা বানোয়াট মামলায় তাকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। তার জামিন হওয়ার কথা ছিল সাত দিনের মধ্যে। কিন্তু জামিন হয় নাই এবং সেটা সরকারের প্রভাবের কারণে।
তিনি বলেন, আদালতের বিচারকদের এখন আর স্বাধীনতা নেই। আর সেই কারণে বেগম খালেদা জিয়া এখন জেলে পড়ে আছেন। তার মুক্তির জন্য এখন আন্দোলন দরকার। আন্দোলন করেই তাকে মুক্ত করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, বিএনপির ভাইস- চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।