কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জাতিসংঘে দেয়া ভাষণের পরই পাল্টে গেছে উপত্যকাটির পরিস্থিতি। স্থানীয় জনগণ কাশ্মীরের মানবিক সংকট ও সেখানকার নাগরিকদের অবরুদ্ধ জীবনযাপনের বিষয়টি তুলে ধরে ইমরানের বক্তৃতাকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছে।
কাশ্মীরি মিডিয়া সোর্সের সূত্রে ডন অনলাইন জানিয়েছে, ইমরান খানের বক্তব্যের পর শুক্রবার রাতে শ্রীনগরজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। ইমরান খানের ওই ভাষণের পর রাতেই কাশ্মীরের স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন শত শত কাশ্মীরি। এ সময় তারা ইমরান খানের পক্ষে শ্লোগান দেয়।
ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, গত রাতে শ্রীনগরের নিকটবর্তী সৌরা অঞ্চলসহ কিছু এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছিল, সংঘর্ষের সময় সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর তারা পাথর ছুঁড়ে মারে। তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
শুক্রবার জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে পাক প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর ইস্যুটি বিশ্ব নেতাদের সামনে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন।
অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ভারত সরকারের নির্মম অত্যাচারের বিষয়টি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরে ইমরান খান বলেন, গত ৫২ দিন ধরে ৮০ লাখ কাশ্মীরিকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ৯ লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করে সেখানকার নাগরিকদের সঙ্গে পশুসুলভ আচরণ করছে আরএসএস মতাদর্শী মোদি সরকার।
আরএসএস মতাদর্শী ভারতের বর্তমান সরকার হিটলারের নাৎসি বাহিনীর মানসিকতা নিয়ে মুসলিমনিধন করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ সরকারের হাতেই গুজরাটে মুসলিমদের ওপর গণহত্যা পরিচালিত হয়েছে। কাশ্মীরে কারফিউ প্রত্যাহারের পর আমরা আবারও এমন একটি গণহত্যার আশঙ্কা করছি।