মাদারীপুরে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬ জন পুলিশ সদস্য রয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে সরকারী নাজিম উদ্দিন কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র মতে, দীর্ঘদিন থেকেই মাদারীপুরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এক গ্রুপ সাবেক নৌ মন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি শাজাহান খান সমর্থিত এবং অপর গ্রুপ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম গ্রুপ সমর্থিত।
শনিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সরকারী নাজিম উদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ কেক কাটার পর আনন্দ মিছিল শুরু করলে এতে ছাত্রলীগের অপর গ্রুপ এগিয়ে আসে এবং কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিবাদমান দুই গ্রুপ লাঠি সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে প্রথমে ছাত্ররা থাকলেও এক পর্যায়ে শ্রমিকসহ আশপাশের লোকজনও জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বেশ কিছু গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। গুলিতে কমপক্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত মশিউর রহমান নাহিদ ও শ্রমিক ফিরোজকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
তবে আহতরা জানিয়েছে, পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে ২০ জনেরও বেশি ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়।
- আ.লীগ গুটিকয়েক লোকের দায়ভার নেবে না : কাদের
- বুধবার থেকে সব টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে সম্প্রচার
জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর তুহিন বলেন, আমার ভাই সাবেক এজিএস ও জেলা যুবলীগ নেতা নাহিদকে খুব কাছ থেকে পুলিশ গুলি করে। এতে আমার ভাই গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিক জানান, ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত অবৈধ কমিটির নেতা ও তাদের সমর্থক শ্রমিকরা হামলা চালিয়ে সাধারণ ছাত্রদের আহত করে।