দেশজুড়ে গ্যাসের সিস্টেম লস কমাতে চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের কাজ। গত ৮ মাসে প্রায় এক লাখ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
জানা যায়, এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের তালিকার মধ্যে আবাসিকের শতকরা ৯৯ভাগ। বাকি এক শতাংশ বাণিজ্যিক, শিল্পে, সিএনজি ও ক্যাপটিভে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত কার্যপত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আজ রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আলী আজগার, মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম ও বেগম নার্গিস রহমান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে গ্যাসের সিস্টেম লস কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গ্যাস ও বিদ্যুতের সিস্টেম লস নির্ধারণের কোনো রেওয়াজ নেই। তবে সব মানুষের সমান সুযোগ প্রদানে সিস্টেম লসের ক্ষেত্রে একটা স্ট্যান্ডার্ন্ড মান নির্ধারণ করতে হবে।
কমিটি সূত্র জানায়, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ফলে সরকার চাইলেও অনেক সময় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারছে না। সরকারি সংস্থায় মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ ব্যবহার হলেও সিস্টেম লস নেই। অথচ বেসরকারি ও আবাসিকে যে ৪০ শতাংশ গ্যাস ব্যবহার হয়ে থাকে সেখানেই সিস্টেম লস বেশি।
এই অবস্থায় অবৈধ গ্যাস এবং বিদ্যুতের সংযোগ চিহ্নিত করতে নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি। কমিটির বৈঠকে গ্যাসের সিস্টেম লসের পরিমাণ সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
- ভুয়া টিকিট বুকিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের তালিকা প্রকাশের সুপারিশ
- খালেদা জিয়ার মুক্তি আদায় করতে হবে : মির্জা ফখরুল
বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত গত আট মাসে পাঁচ ক্যাটাগরিতে ৯৭ হাজার ৪৩৫টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। এরমধ্যে আবাসিকে বিচ্ছিন্ন করা লাইনের সংখ্যা ৯৭ হাজার ৮৩টি, বাণিজ্যিকে ২০২টি, শিল্পে ৮৭টি, সিএনজিতে ২২টি এবং ক্যাপটিভে ৪১টি।
এছাড়া কার্যপত্রে ২০২৩ সালের মধ্যে ৫ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং ২০২০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৩ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা ও ৯৬ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে।