চালের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

চাল
চাল। ফাইল ছবি

রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা বা গুটি চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪০ টাকায়। কয়েক দিন আগেও যা ৩৪ টাকার নিচে ছিল। খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, মিনিকেট চালের দামও একটু একটু করে বাড়ছে। মানভেদে ৪৫-৫৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত প্রতি কেজি মিনিকেট চাল। বর্তমানে এ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা দরে।

এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন টিসিবির বাজার বিশ্লেষণের তথ্য মতে, গত এক মাসে মোটা চালের দাম ২.৭৮ শতাংশ বেড়েছে।

একাধিক খুচরা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোটা চাল ও মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে বলে পাইকাররা জানিয়েছেন।

মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার খুচরা বিক্রেতা মনসুর মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, সপ্তাহখানেক আগে প্রতি কেজি স্বর্ণা ৩৪ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন ৩৬ টাকার নিচে বিক্রি করার সুযোগ নেই।

শনিরআখড়া কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা আবদুল্লাহ বলেন, চালের দাম একটু একটু করে বাড়ছে। সামনে আরও বাড়বে। কেবল তো শুরু!

যদিও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে চালের দাম বাড়লেও ধানের দাম উল্টো কমছে। সরকার অতিরিক্ত ধান কেনার ঘোষণা দিলেও ধানের দাম বাড়েনি। সরকার গত ১১ জুলাই প্রাথমিকভাবে দুই লাখ টন সিদ্ধ চাল রপ্তানির অনুমতি দেয়। এর উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা। কিন্তু কৃষক ধানের ন্যায্য মূল্য তো পাচ্ছেনই না, উল্টো স্থানীয় বাজারে বাড়ছে চালের দাম।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভালো মানের এক কেজি মিনিকেট চাল উৎপাদনে খরচ পড়ে সাড়ে ৩৪ থেকে ৩৭ টাকা। পরিবহন খরচ দুই টাকা ধরলে দাম পড়ে ৩৬-৩৯ টাকা। অথচ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। এখানে ব্যবসায়ীদের পকেটে ঢুকছে ১৯-২১ টাকা।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, যে টাকাটা মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে যাচ্ছে, সেটা কমিয়ে আনার জন্য সরকারকে পরিকল্পনা করতে হবে। আর ধানের দাম না বাড়া সত্ত্বেও চালের দাম বাড়াটা অস্বাভাবিক। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করেই বাজারকে অস্থির করার চেষ্টা করছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে