ভারতীয় বাহিনী তল্লাশির নামে কাশ্মীরে অভিযান চালিয়ে ৬ স্বাধীনতাকামীকে গুলি করে হত্যা করেছে। শনিবার দিনভর উপত্যকাটির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানোর সময় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রামবানের বাতোতে এলাকায় জম্মু-শ্রীনগর মহাসড়কে স্বাধীনতাকামীরা একটি যাত্রীবাহী বাস থামানোর চেষ্টা করেছে বলে ভারতীয় বাহিনী দাবি করেছে। এরপরই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের গোলাগুলি শুরু হয়।
কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, বাসটির চালক ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্ম পরা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আসতে দেখে বাসের গতি বাড়িয়ে দেন, এরপর পুলিশকে খবর দেন।
প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তা বাহিনী হাজির হয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এ সময় দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী এনডিটিভিকে জানিয়েছেন।
একই দিনে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুরেজ সেক্টরের গন্ডেরবল এলাকায় দ্বিতীয় হামলা হয়। সেখানে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গেরিলারা গুলিবর্ষণ করলে জওয়ানদের পাল্টা গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়। সেনাবাহিনীর নর্দান কম্যান্ডের পক্ষ থেকে একজন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। নিহতের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গুলিবারুদ উদ্ধারের দাবি করেছে ভারতীয় বাহিনী।
শুক্রবার রাতে শুরু হওয়া বিক্ষোভের পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত অধিকৃত কাশ্মীর। কাশ্মীর নিয়ে শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জাতিসংঘে দেয়া ভাষণের পরই পাল্টে গেছে উপত্যকাটির পরিস্থিতি।
কাশ্মীরের মানবিক সংকট ও সেখানকার নাগরিকদের অবরুদ্ধ জীবনযাপনের বিষয়টি তুলে ধরে ইমরানের বক্তৃতাকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছে স্থানীয় জনগণ।
ইমরান খানের বক্তব্যের পর শুক্রবার রাতে শ্রীনগরজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। ইমরান খানের ওই ভাষণের পর রাতেই কাশ্মীরের স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন শত শত কাশ্মীরি।
এ সময় তারা ইমরান খানের পক্ষে শ্লোগান দেয়। এরপর শনিবার চলাচলের ওপর ফের বিধিনিষেধ আরোপ করে স্থানীয় প্রশাসন।