ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের হামলা বন্ধের শর্তে দেশটির বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি বলেছেন, হুতিদের এ প্রস্তাব মেনে নিলে তা মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।
রোববার হুতিদের যুদ্ধবিরতির এমন প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়ে এক বিবৃতিতে দেয় তেহরান। তাতে দাবি করা হয়, আন্তর্জাতিক সমাজ হুতিদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও দুঃখজনকভাবে সৌদি বাহিনী এখনও ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে ও যুদ্ধের দাবানল জ্বালিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, তেহরান রিয়াদকে ইয়েমেনের প্রস্তাব মেনে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছে।
ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধাদের সমর্থিত সরকার গত ২০ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়ে ঘোষণা করে, সৌদি বাহিনী হামলা বন্ধ করলে ইয়েমেনের পক্ষ থেকেও হামলা বন্ধ করা হবে। তবে রিয়াদ সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে।
২০১৫ সাল থেকে হুতিদের বিরুদ্ধে অব্যাহত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এতে নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। দুর্ভিক্ষের কিনারে গিয়ে ঠেকেছে ইয়েমেন। এরমধ্যে গত শনিবার সৌদি আরবের ৫০০ সেনাকে হত্যা, দুই হাজার সেনাকে আটক ও সামরিক বাহিনীর যানবাহনের একটি বহরকে জব্দের কথা দাবি করেছে হুতি বিদ্রোহীরা।
৭২ ঘণ্টার ওই অভিযানে সৌদি আরবের ৫০০ সেনাকে হত্যা ও কয়েক হাজার সেনা সদস্য আটকের দাবি করেছে তারা।
রোববার বিকালে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় এক সংবাদ সম্মেলনে হুতি মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি সৌদি আরবের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানকে ‘আল্লাহর পক্ষ থেকে বিজয়’ বলে অভিহিত করেন। ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বড় একটি সামরিক বিজয় হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।