যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নিবন্ধনসহ ক্রীড়া ক্লাবগুলো নিয়ন্ত্রণের সুযোগ চায়। ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে ক্লাবগুলোকে নিজেদের আওতায় নেয়ার প্রস্তাবের কথা জানালেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে বিভিন্ন ফেডারেশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ক্রীড়া ক্লাবগুলোতেও ক্যাসিনো ব্যবসা থাকা দুঃখজনক। ক্লাবগুলো ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অধিভুক্ত নয় বলে তাদের ওপর নজরদারি করার সুযোগ নেই। তবে সময় এসেছে আইন পরিবর্তনের।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ক্রীড়া ক্লাবগুলো ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত হওয়ায় ক্রীড়াঙ্গনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
জাহিদ আহসান আরও জানান, রাজধানীর বেশিরভাগ ক্লাব লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায়, এগুলোর ওপর নজরদারি করার এখতিয়ার নেই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের।
আগামীতে যাতে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়, সেই আইনি অধিকারের তাগিদ দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
ফেডারেশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পর্যালোচনা সভায় ৮৯টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ৩৯টি আন্তর্জাতিক, বাকিগুলো জাতীয়। এজন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৩০৬ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় তহবিল ও স্পন্সরদের সমন্বয়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।