বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে আজ থেকে সব টিভির সম্প্রচার

মত ও পথ রিপোর্ট

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট
ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ দিয়ে আজ থেকে সম্প্রচারে যাচ্ছে সবগুলো টিভি চ্যানেল। সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। ইতিমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে এই স্যাটেলাইটের বিভিন্ন ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে ব্যান্ডউইথ বিক্রির চেষ্টা চলছে। নেপাল, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন ব্যান্ডউইথ কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এখন তাদের সঙ্গে চলছে আলোচনা।

দ্রুতই চুক্তির ব্যাপারে আগ্রহী বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)।

universel cardiac hospital

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছিলাম সবগুলো টিভি চ্যানেলকে আমাদের স্যাটেলাইটের আওতায় আনতে। শেষ পর্যন্ত সবার আন্তরিকতায় সেটা সম্ভব হয়েছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি দেশে ব্যবহার হবে, বাকি ২০টি বিদেশে ভাড়া দেওয়া হবে। দেশের জন্য বরাদ্দ থাকা ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে বেশ কয়েকটি ইতিমধ্যে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। একটি বেসরকারি কোম্পানি পাঁচটি ট্রান্সপন্ডার ভাড়া নিয়েছে। এছাড়া টিভি চ্যানেলগুলোর জন্য কিছু ট্রান্সপন্ডার রাখা হয়েছে। মূলত ছয়টি টিভি চ্যানেলের জন্য একটি ট্রান্সপন্ডার লাগে। ৩৫টি টিভি চ্যানেলের জন্য ছয়টি ট্রান্সপন্ডার বরাদ্দ করা হয়েছে।’

টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে সেবা নিলেও কারিগরি কিছু সমস্যা রয়ে গেছে বলে জানা গেছে ।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সম্পাদক বলেন, ‘আগে যেমন আমরা অফিসের ওপরে যে ডিশ আছে সেটা দিয়েই স্যাটেলাইটে আমাদের ডকুমেন্টগুলো পাঠিয়ে দিতাম, এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সি ব্যান্ডের না হওয়ার কারণে বেশ কিছু সমস্যা পোহাতে হবে। প্রথমত, আমাদের অফিসের ওপরে যে আর্থ স্টেশন আছে সেটা দিয়ে আমরা চালাতে পারব না। স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষ আমাদের আর্থ স্টেশন থেকে ক্যাবল দিয়ে সংযোগ নিয়েছে গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশনে। সেখান থেকে তারা স্যাটেলাইটে পাঠাবে? এভাবেই সবগুলো টিভি চ্যানেল থেকে ডকুমেন্ট যাবে। এতে ক্যাবল কাটা যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। অবশ্য বিকল্প তিনটি লাইন করা হয়েছে, একটা কাটা গেলে যাতে অন্যটা দিয়ে কাজ চালানো যায়। আরেকটা সমস্যা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের চ্যানেলগুলো দেখতে একটু সমস্যা হতে পারে। যদিও বিকল্প স্যাটেলাইটের ব্যবস্থা রেখেছে স্যাটেলাইট কোম্পানি।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহারের ফলে খরচ বাড়ছে, না কমছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি টিভি চ্যানেল প্রতি মাসে ২২ থেকে ২৪ হাজার ডলার দেই। এখানে খরচ একটু কমবে। এখন সেই টাকা আর বিদেশে পাঠাতে হবে না। এটা কিন্তু ভালো দিক।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে