গুনাথিলাকার একক লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে শ্রীলংকা। গুনাথিলাকার ১৩৩ রানের সুবাদে করাচি স্টেডিয়ামে ৯ উইকেটে ২৯৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে লংকানরা। ইনিংসের শেষ দিকে ২৪ বলে ৪৩ রান করেন দাসুন শানাকা। এছাড়া ৩৬ রান করে করেন অধিনায়ক লাহিরু থিরিমান্নে ও উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মিনোদ ভানুকা।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিততে হলে পাকিস্তানকে ২৯৮ রান করতে হবে। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে ৩০৫ রান করে ৬৭ রানের জয় পায় পাকিস্তান।
আজ বুধবার করাচির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারী শ্রীলংকা। সিরিজে ভাগবসানোর ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই অভিস্কা ফার্নান্দোর উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় লংকানরা।
দলীয় ১৩ রানে অভিস্কার বিদায়ের পর অধিনায়ক লাহিরু থিরিমান্নেকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অন্য ওপেনার গুনাথিলাকা। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৮ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন লংকান অধিনায়ক। মোহাম্মদ নওয়াজের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৫৩ বলে ৩৬ রান করেন থিরিমান্নে।
এরপর অ্যাঞ্জেলো পেরেরার সঙ্গে ৫০ রানে জুটি গড়েন গুনাথিলাকা। ২৫ বলে ১৩ রানে আউট হন অ্যাঞ্জেলো পেরেরা। তবে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান গুনাথিলাকা।
ইনিংসের শুরু থেকে বলে বলে রান করে যাওয়া গুনাথিলাকা ১০০ বলে ১২টি চার ও এক ছক্কায় শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রীলংকার হাম্বানটোটায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১১৫ রান করেন তিনি।
সেঞ্চুরির পর দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দিতে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান গুনাথিলাকা। চতুর্থ উইকেটে মিনোদ ভানুকাকে সঙ্গে নিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে ৭৪ রানের জুটি গড়েন তারা। ৩৯ বল খেলে দুটি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ রান করে আউট হন শ্রীলংকার তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ভানুকা।
- ভয়েস অব আমেরিকাকে প্রধানমন্ত্রী : যেখানেই দুর্নীতি সেখানেই অভিযান
- অপেক্ষা করুন, গরম খবর আসছে : ওবায়দুল কাদের
ইনিংসের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামা গুনাথিলাকা ৪৪.৩ ওভারে মোহাম্মদ আমিরের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। তার আগে ক্যারিয়ার সেরা ১৩৪ বলে ১৬টি চার ও এক ছক্কায় ১৩৩ রান করেন। এ রান সংগ্রহের মধ্য দিয়ে করাচি স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে স্থান করে নেন লংকান ওপেনার গুনাথিলাকা।
গুনাথিলাকা আউট হওয়ার পর ইনিংসের শেষ দিকে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি লংকান লেজের ব্যাটসম্যানরা। শেষ দিকে মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট পতনের কারণে তিনশতাধিক রান সংগ্রহের সমূহ সম্ভাবনা থাক সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৯৭ রানে ইনিংস থামায় লংকানরা। পাকিস্তানের হয়ে ৫০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ আমির।