মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের দ্বিতীয় দিনে শহরজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
চাকরির সংকট, নিম্নমানের সেবা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় ইতোমধ্যেই ইরাকের আরও তিন শহরে কারফিউ জারি রয়েছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের কারণে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েকশ মানুষ। বেশি কিছু এলাকায় সামাজিক মাধ্যম এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। তবে এই বিক্ষোভ বিচ্ছিন্নভাবে হচ্ছে। এতে নেতৃত্বের অভাব দেখা দিয়েছে। সারাদেশে বিক্ষোভ হলেও তা সংগঠিত নয়।
- আরও পড়ুন >> নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
এক বিবৃতিতে আবদুল মাহদি বলেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় বিকাল ৫টা থেকে বাগদাদে সব ধরনের যান এবং মানুষ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। তবে এই কারফিউয়ের আওতায় থাকবে না বিমানবন্দরে আসা ভ্রমণকারী, অ্যাম্বুলেন্স, সরকারি হাসপাতালের কর্মচারী, বিদ্যুৎ এবং পানি বিভাগ এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা। ইতোমধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাসিরিয়া, আমারা এবং হিল্লা শহরে কারফিউ জারি রয়েছে।