বিদেশ সফরে পরিবার-পরিজন নিয়ে যেতে পারেন না ক্রিকেটাররা। এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বোর্ডগুলো। বলা হয়, স্ত্রী-বান্ধবী সঙ্গে থাকলে ক্রিকেটারদের মনঃসংযোগে ব্যঘাত ঘটবে। ফলে সামর্থ্য অনুযায়ী পারফরম করতে পারবেন না তারা। তবে ভারতীয় টেনিস সেনসেশন সানিয়া মির্জা বলছেন ভিন্নকথা। তার মতে, সঙ্গিনী থাকলে আরও ভালো খেলতে পারেন ক্রিকেটাররা।
একই সঙ্গে দেশটির টেনিস তারকার কণ্ঠে প্রতিবাদের সুর। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অনেক দলের ক্ষেত্রেই দেখি, তন্মধ্যে ক্রিকেট দলও রয়েছে; তাদের স্ত্রী-বান্ধবীদের বিদেশ ট্যুরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। বলা হয়, তাতে দলের ছেলেদের মনঃসংযোগ নষ্ট হবে।
সানিয়া প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, এর মানে কী? নারীরা এমন কী করে, যে জন্য পুরুষদের মনঃসংযোগে ব্যঘাত ঘটবে?
তিনি বলেন, আসলে এটা বদ্ধমূল ধারণা। শিকড়ের সঙ্গে লেগে থাকা সমস্যা। খুব আগে থেকে এটা চলে আসছে। যেখান থেকে আমরা বের হতে পারছি না।
বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের হারের জন্য সানিয়াকেই দায়ী করা হয়। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি সে দেশের কন্যা নই- বউ। আর একজন বউয়ের কী ক্ষমতা থাকতে পারে?
এ কথা বলতে গিয়ে বিরাট কোহলি-আনুশকা শর্মা প্রসঙ্গ টানেন টেনিস তারকা। ভারতীয় অধিনায়ক একটু বাজে পারফরম করলেই বলিউড সুন্দরীর দোষ দেয়া হযে থাকে। সানিয়া বলেন, বিরাট কখনও শূন্য রানে আউট হলে আনুশকাকে দায়ী করা হয়। তার প্রশ্ন- বিরাটের শূন্য করার সঙ্গে আনুশকার কী সম্পর্ক? যতসব অর্থহীন কথাবার্তা।
- আরও পড়ুন >> আসামের পর কর্ণাটকেও এনআরসি তৈরির প্রস্তুতি
সানিয়ার ভাষ্যমতে, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে- দলগত খেলায় সফর চলাকালীন স্ত্রী-বান্ধবী সঙ্গে থাকলে আরও ভালো পারফরম করতে পারেন খেলোয়াড়রা। কারণ নিজ ঘরে ফেরার পর তারা আরও খুশি হয়ে ওঠে। একসঙ্গে ডিনার করা যায়। সঙ্গিনী থাকলে খেলোয়াড়রা আরও সমর্থন ও ভালোবাসা পান।
দক্ষিণ এশিয়ায় জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত সানিয়া। মেয়েদের খেলাধুলায় আসার জন্য আরও উৎসাহ দেয়ার কথাও বলেন তিনি। তার বক্তব্য, আমি যখন টেনিস খেলা শুরু করি, তখন দেশে (ভারত) মেয়েদের মধ্যে আদর্শ হিসেবে একজনই ছিলেন। তিনি পি টি ঊষা। এখন পি ভি সিন্ধু, সাইনা নেহওয়াল, জিমন্যাস্ট তারকা দীপা কর্মকারদের মতো প্রেরণা রয়েছেন।