‘ভারত থেকে কিছু আদায়ে শেখ হাসিনা ব্যর্থ’

মত ও পথ প্রতিবেদক

রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

‘আগের সফরে প্রধানমন্ত্রী তিস্তার আধা লিটার পানিও আনতে পারেন নাই। সমতার ভিত্তিতে আদায় দূরে থাক, ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনা একটা কানাকড়িও আদায় করতে পারেননি। অথচ প্রধানমন্ত্রী নিজ মুখেই বলেছেন, আমরা ভারতকে অনেক কিছুই দিয়েছি। কিন্তু কী দিয়েছেন তা জনগণ এখনও জানে না। জনগণ শুধু জানে ভারত থেকে কিছু আদায় করতে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছেন।’-বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

আজ শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, শুস্ক মৌসুমে পানি কম পাওয়ার কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে সেচকার্য, প্রাণী বৈচিত্র্য, জি-কে প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নিম্ন অববাহিকার অনেক ভেতরে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ছে। এ বিপর্যয় এড়াতে আরেকটি গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডিও সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু মাসখানেক আগে ভারতের সচিব এসে এই ব্যারেজ নির্মাণে ভারতের ক্ষতির দিক কিংবা লাভ হলে তাতে ভারতের অংশীদারিত্বের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মাণের সময় কি এরকম স্টাডি করা হয়েছিল? প্রধানমন্ত্রী কী এসব প্রশ্ন করতে পারবেন?

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন, কোনো কোনো মন্ত্রী অতিউৎসাহী হয়ে বলছেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী কিংবা ভাই-বোনের মতো। কিন্তু কে স্বামী কে স্ত্রী বা কে বোন কে ভাই সেটি উল্লেখ করেননি, জনগণও এটি জানতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে সমতার ভিত্তিতে লেনদেন সম্ভব। কিন্তু নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বন করলে কেউই পাত্তা দেয় না।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে শেখ হাসিনার “নো কম্প্রোমাইজ” বলাতেই প্রমাণিত হয় বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার জেদ ও প্রতিহিংসার কারণেই কারাগারে বন্দি হয়ে আছেন। সেক্ষেত্রে আইন ও বিচারিক প্রক্রিয়া কেবল মুখোশমাত্র। বেগম খালেদা জিয়ার বিয়োগান্তক পরিণতি না ঘটানো পর্যন্ত শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা পূরণ হবে না। এ কারণেই বিনা অপরাধে বেগম জিয়াকে ধুকে ধুকে মারার জন্য তাকে বন্দি করে ষড়যন্ত্রের নিষ্ঠুর ছক আঁটা হচ্ছে। তবে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে বাঁচানোর শর্তই হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। এ কারণেই তরুণদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

মিছিলে অন্যদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রাজিব আহমেদ, সহ-সভাপতি মাহামুদুল হাসান বসুনিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ রানাসহ বিভিন্ন থানা ও কলেজের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে