দেশে চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান র্যাবের একার নয় বলে জানিয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে সরকারের নির্দেশে যখন প্রয়োজন হবে, তখনই অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে র্যাব কাজ করবে।’
আজ শুক্রবার বনানী মাঠে অবস্থিত দুর্গাপূজার মণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘আপনারা যদি খেয়াল করেন দেখবেন, এবার প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতিহারে কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করার কথা বলেছেন। চলমান দুর্নীতিবিরোধী বা শুদ্ধি অভিযান অনেক বড় একটি বিষয়। এই অভিযানের সঙ্গে শুধুমাত্র র্যাব ফোর্সেস জড়িত না। আর এই অভিযানে র্যাব লিড এজেন্সি নয়। আমরা সহযোগী প্রতিষ্ঠান। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারের নির্দেশে কাজ করছি। সামগ্রিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে কিন্তু অনেক এজেন্সি জড়িত। সেক্ষেত্রে আমি বলতে পারি চলমান র্যাব লিড এজেন্সি নয়।’
সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ক্যাসিনোর জন্য পুলিশ একা দায়ী নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে র্যাবসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাদের এর দায় পড়ে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘এটা আসলে আমি জানিনা উনি বলেছেন কিনা। উনি একজন অভিজ্ঞ পুলিশ কর্মকর্তা, উনার এই ধরনের মন্তব্য করার কথা না আমি যতটুক জানি। আমি ধারণা করব যে উনি এ ধরনের মন্তব্য করেন নাই। তাই এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আমরা সাতটি ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করছি। আমাদের সর্বশেষ ম্যান্ডেট হচ্ছে সরকার যখন যা নির্দেশ দিবে তাই করব। সুতরাং সরকারের নির্দেশিত না হলে, সাধারণত আমরা ম্যান্ডেটের বাহিরে গিয়ে কাজ করি না।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করব। যার যে দায়িত্ব আছে, আমরা সবাই সমন্বয় করে কাজ করব। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে সরকারের নির্দেশে যখন প্রয়োজন হবে, তখনই অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে র্যাব কাজ করব।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ নেতা সম্রাট প্রসঙ্গে ও র্যাব বিশেষ কোনো তালিকা করেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে র্যাব ডিজি বলেন, আমি স্পেসিফিক কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না। আমরা ধৈর্য ধরি, সমস্ত কিছুর উত্তর পাব।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন এর সুদুরপ্রসারী একটা প্রভাব দেশের মানুষ দেখতে পাবেন। এর সামগ্রিক প্রভাব দেশের সার্বিক উন্নয়নে পড়বে। আগামীতে দেশের সামাজিক ক্ষেত্রে থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ক্ষেত্রসহ অনেক কিছুতেই প্রভাব পড়বে। দেশবাসী সামনে চমৎকৃত হবেন এবং এর সুফল প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম দেশের মানুষ পেয়ে যাবে। সেটার জন্য আমরা অপেক্ষা করি, অধৈর্য হওয়ার কোনো কারণ নাই।