ইরাকে বেকারত্ব ও দুর্নীতি নির্মূলের দাবিতে চার দিন ধরে চলছে বিক্ষোভ। প্রথম তিনদিনেই রক্তক্ষয়ী রূপ ধারণ করেছে বিক্ষোভটি। তিনদিনে ইরাকজুড়ে প্রায় ৩১ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
এদিকে চতুর্থদিনে এসে ভয়াল হয়ে উঠেছে দেশটি। শুক্রবারের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৬ জন বিক্ষোভকারী। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন একশর বেশি মানুষ।
বেকারত্ব ও দুর্নীতি নির্মূল এবং সরকারি চাকরির দাবিতে চারদিন আগে রাজধানী বাগদাদের রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। এসময় তারা প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহের পদত্যাগের দাবিও তোলে। বিক্ষোভ দমনের জন্য বিশেষ দাঙ্গা পুলিশ নামায় ইরাক সরকার। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে প্রথম দিনই অন্তত ১০ জন বিক্ষোভকারী প্রাণ হারান।
পরবর্তী দুইদিনে মারা যান অন্তত ২১ জন। পরে বৃহস্পতিবার রাজধানী বাগদাদে কারফিউ জারি করা হয় প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদির নির্দেশে। এতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বাগদাদ ছাড়িয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোতে।
শুক্রবার এসে ভয়াল আকার ধারন করে বিক্ষোভটি। পুলিশ এদিন আন্দোলনকারীদের দিকে ব্যাপক হারে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। একইসঙ্গে বহু রাউন্ড আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তারা। এতে বাগদাদ ও দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোতে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু ঘটে। পুলিশের লাঠিচার্য, রাবার বুলেট ও আগ্নেয়াস্ত্রের শিকার হয়ে একশ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন এদিন।
প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি শুক্রবার সকালে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে একটি বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভের পেছনে যৌক্তিক কারণ আছে। কিন্তু, আমাদের বুঝতে হবে, রাতারাতি কোন সমাধান আনা সম্ভব নয়। সাময়িক কারফিউ জারি করার মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা আমাদের জন্য কষ্টকর ছিল।’ ‘মাঝে মাঝেই বড় অসুখে তেতো ওষুধ লাগে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে দেশের সর্বত্র স্বাভাবিক জনজিবন নিশ্চিত করতে হবে, এবং সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।