ব্রিটিশ সরকার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে (ইইউ) নতুন ব্রেক্সিট পরিকল্পনা জানিয়েছে। নতুন পরিকল্পনার মধ্যে আইরিশ ‘ব্যাকস্টপ’ প্রতিস্থাপনের বিষয়টিও থাকছে।
ব্রেক্সিট কার্যকরের পর ইইউ সদস্যভুক্ত স্বাধীন আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অংশ নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত উন্মুক্ত রাখার নিশ্চয়তা ‘ব্যাকস্টপ’ বলে পরিচিত। খবর বিবিসির।
ব্যাকস্টপসহ ব্রেক্সিট কার্যকর হলে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডকে ইইউ আইনের অধীনে থাকতে হবে। কিন্তু ‘ব্যাকস্টপ’-বিরোধীরা আশঙ্কা করছেন, এতে যুক্তরাজ্যের বাকি অংশ থেকে আইনগতভাবে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
নতুন ব্রেক্সিট পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউরোপের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে উত্তর আয়ারল্যান্ডের পণ্য। কিন্তু পণ্যগুলোকে নতুনভাবে কাস্টমসের বৈতরণী পার হতে হবে।
অবশ্য এ পরিকল্পনা আগে উত্তর আয়ারল্যান্ড অ্যাসেমব্লিতে (সংসদ) পাস হতে হবে। এ ছাড়া প্রতি চার বছর অন্তর আইরিশ অ্যাসেমব্লিতে এ বিষয়ে ভোটাভুটি হবে।
এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জানিয়েছে, ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে কিছুটা সামনে এগোনো গেলেও এখনও আসল সমস্যা রয়েই গেছে।
অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীও যুক্তরাজ্যের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন।
তবে এ নিয়ে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে উল্লেখ করে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, একটি চুক্তি হোক- সেটি তিনি চান।
- অশান্ত ইরাকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯০, বাগদাদে কারফিউ প্রত্যাহার
- ভারতজুড়ে মুসলমানরা রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার আতঙ্কে
ব্রিটিশ সরকার ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর। এ দিনটি খ্রিস্টানদের বার্ষিক উৎসব হ্যালোইন। ব্রিটিশ সরকার কোনোভাবেই ব্রেক্সিট কার্যকরের দিন হ্যালোইনের পরে নিতে চায় না।
এদিকে ব্রিটিশ সরকারের প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লদ জাঙ্কার জানিয়েছেন, প্রস্তাবের কয়েকটি জায়গায় ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’ থাকলেও কাস্টমসসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সমস্যা রয়ে গেছে।