ভবিষ্যতে কোনো ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গেলে বিশেষ একটি যন্ত্র সেই ব্যক্তির চেহারা শনাক্ত করবে। ওই ব্যক্তি ইসি সচিবালয়ের নিজস্ব কর্মকর্তা হলে তাঁর মুখমণ্ডলজুড়ে বর্গাকৃতির সবুজ রেখা জ্বলে উঠবে। আর বহিরাগত হলে জ্বলবে লাল রঙের রেখা।
ব্যক্তির চেহারা শনাক্ত করার এই যন্ত্রটি (ফেস রিকগনিশন মেশিন) অচিরেই আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন ও পাশের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে বসানো হবে।
ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতাদের কর্মকাণ্ড নজরদারিতে রাখার জন্য এই যন্ত্র বসানো হবে।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাইদুল ইসলাম রোববার পরীক্ষামূলকভাবে যন্ত্রটি চালু করেন।
সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এই যন্ত্র বসানোর পর প্রতিদিন ইসি ও ইটিআই ভবনে কে প্রবেশ করলেন বা বের হলেন, তা জানা যাবে। ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও গণমাধ্যমকর্মীসহ অন্য যাঁরা নিয়মিত ইসিতে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও চেহারা শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবুজ রেখা জ্বলে উঠবে। আর যে ব্যক্তির মুখমণ্ডলে লাল রেখা জ্বলে উঠবে, মেশিন সেই ব্যক্তি সম্পর্কে নিয়ন্ত্রণকক্ষকে সতর্ক করবে।
এনআইডি বিভাগের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন ভবন ও ইটিআই ভবনের জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারসহ স্পর্শকাতর সব জায়গায় এই যন্ত্রটি বসানো হবে। এ ছাড়া নির্বাচন ভবন ও ইটিআই ভবনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমেও কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতাদের গতিবিধি লক্ষ করা হচ্ছে।
এনআইডি অনুবিভাগ সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভার স্টেশন সংস্কারের কাজ চলছে। এই সার্ভারের ধারণক্ষমতা ৫০ টেরাবাইট। এর মধ্যে ১০ কোটি ৪২ লাখের বেশি ভোটারের তথ্য ধারণ করতে ব্যয় হয়েছে ৪৫ টেরাবাইট। যে কারণ দীর্ঘদিন ধরে সার্ভার স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিল না। এ সমস্যা কাটানোর জন্য ইসি আরও ১০০ টেরাবাইট ধারণক্ষমতার সার্ভার বসানো কাজ শুরু করেছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে নতুন সার্ভার স্টেশন বসানোর কাজ শেষ হবে।
- আরও পড়ুন >> ভারতকে আগের চুক্তিতেই ফেনী নদীর পানি দিতে সমঝোতা
সাইদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সার্ভারের মন্থরগতির কারণে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি সইতে হচ্ছে। নতুন সার্ভার চালু হওয়ার পর সেই সমস্যা আর থাকবে না।