সারাদেশে চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ৯৭ শতাংশ মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। এ জরিপ অনুযায়ী এক শতাংশ মানুষ এই অভিযানে অসন্তুষ্ট। আর অভিযানের বিষয়ে কোনো মতামত দেয়নি দুই শতাংশ মানুষ।
আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান সর্ম্পকে পরিচালিত জনমত জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এমন তথ্যই জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল।
জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী গবেষক অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মিল্টন।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগের প্রায় তিন হাজার মানুষকে মোবাইলে ফোন করে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করা হলে এক হাজার ৭৬০ জন মানুষ তাদের মতামত দিয়েছেন। জরিপে অংশ নেয়া ৫৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, অবৈধ ক্যাসিনো বাণিজ্যের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা সরাসরি জড়িত থাকেন। ৩৪ শতাংশ উত্তরদাতার মতে, এসব নেতারা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকেন। আর আট শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে কোনো মতামত দেয়নি।
জরিপে ৯৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী দেশ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর ওপর সন্তুষ্ট। এদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ খুব বেশি সন্তুষ্ট, ২৪ শতাংশ মোটামুটি সন্তুষ্ট এবং এক শতাংশ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
জরিপ বলছে, ৯৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারীই মনে করেন, শেখ হাসিনাই দেশকে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করতে পারবেন। ৮৮ শতাংশ মানুষ বলেছেন, এই অভিযানের মাধ্যমে সরকার ও আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। চার শতাংশ বলেছেন, নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ৮ শতাংশের মতে, এই অভিযানের কোনো প্রভাব পড়বে না।
জরিপে অংশ নিয়ে ৮৪ শতাংশ উত্তরদাতা দেশে বৈধভাবে ক্যাসিনোর লাইসেন্স দেওয়ার বিরোধিতা করেছেন, ১১ শতাংশ নির্দিষ্ট এলাকায় দেওয়ার পক্ষে এবং ৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী ক্যাসিনো বৈধ করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন।
- আরও পড়ুন >> সম্রাট ও আরমান যুবলীগ থেকে বহিষ্কার
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮১ শতাংশ মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অভিযানের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করতে পারবেন। ১৮ শতাংশ মনে করেন, মোটামুটি দুর্নীতিমুক্ত হবে। এক শতাংশ মনে করেন, পারবেন না।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক কার্যক্রমে অধিক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ৭৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী, ২৪ শতাংশ সন্তুষ্ট এবং এক শতাংশ কোনো সন্তুষ্টি প্রকাশ করেনি।
ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিইউপির খণ্ডকালীন শিক্ষক ও সহ-গবেষক কাজী আহমেদ পারভেজ, উন্নয়ন গবেষণা বিশেষজ্ঞ মোশাররফ হোসেন ও রিসার্চ ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোহাম্মদ মোফাজ্জল হুসাইন রনি প্রমুখ।