সহপাঠীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের নয়জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
সন্তানের অকাল মৃত্যুর খবর শুনে সুদূর কুষ্টিয়া থেকে বুয়েটে ছুটে এসেছেন আবরারের বাবা-মা। অথচ সারাদিনে দেখা যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে।
শুধু তাই নয়, মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ক্যাম্পাসে এসেই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন আবরারের বাবা। এ সময় তারা সবাই কাঁদতে কাঁদতে পুলিশের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
জানা যায়, আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে কল দেন হল প্রাধ্যক্ষ। তখন ভিসির ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) কল রিসিভ করে ভিসি অসুস্থ বলে জানান। অসুস্থতার কারণে তিনি ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।
রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদ মুজাহিদকে সিঁড়িতে পড়ে থাকতে দেখেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে তাকে ডেকে নিয়ে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
পরে সোমবার ভোরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।