বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন তার বাবা বরকতুল্লাহ। মামলায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ জনকে আসামি করে করা হয়েছে।
সোমবার রাতে চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে মত ও পথকে বলেন, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের নাম উল্লেখ করেছেন ফাহাদের বাবা। মামলার এজাহারে তাদের নাম আছে। এছাড়া পলাতক আসামিদের নামও আছে। তদন্তের পর তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সোমবার দুপুর দেড়টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে তার ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আবরারের হাত-পা, পিঠে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। বাঁশ কিংবা লাঠি দিয়ে আঘাত করা হতে পারে। আঘাতের কারণে ইন্টারনাল রক্তক্ষরণ হয়। এতে তার মৃত্যু হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, তার কপালে কাটা দাগ আছে। এছাড়া বেশিরভাগ জায়গায় পেটানোর আঘাত । যেগুলো কালচে রঙ ধারণ করেছে।
রোববার রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।