রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে মাদক ও মুদ্রা পাচার মামলায় আরও সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় খালেদকে দশ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ সোমবার আদালতে হাজির করা হয়।
গুলশান থানার মুদ্রা পাচার আইনের মামলায় খালেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী এ মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর মতিঝিল থানার মাদক আইনের মামলায় খালেদকে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হলে ঢাকা মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়া শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করার পর যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে ধরতে অভিযান নামে র্যাব।
১৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে গ্রেপ্তার করার পর ৫৮৫টি ইয়াবা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং অবৈধ অস্ত্র পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
একই সঙ্গে ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালিয়ে সেখানে মদ আর জুয়ার বিপুল আয়োজন এবং ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। শাহজাহানপুরের রেলওয়ে কলোনিতে বেড়ে ওঠা খালেদ ফকিরাপুলের ওই ক্লাবের সভাপতি।
ওই ঘটনায় অস্ত্র, মাদক ও মুদ্রাপাচার আইনে খালেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয় গুলশান থানায়। আর মতিঝিল থানায় মাদক আইনে করা হয় আরেকটি মামলা।
গুলশান থানার অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ২৭ সেপ্টেম্বর খালেদকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে ওই দুই মামলায় তাকে আরও ৫ দিন করে মোট দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মহানগর হাকিম দিদারুল আলম।
ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর খালেদকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।