জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আফজালুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সিসিইউতে নং ৩ এ ভর্তি আছেন।’
আফজালুর রহমান জানান, ‘১৯৯৮ সালের সম্রাটের হার্টের একটি ভাল্ব রিপ্লেস করা হয়েছে। বর্তমানে তার সেই ভাল্ব ভালোভাবেই কাজ করছে।’
তিনি আরও জানান, সম্রাটের চিকিৎসায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি জরুরি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাদের অধীনে তাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টগুলো হাতে আসলে পরবর্তী অবস্থা জানা যাবে বলে জানান হাসপাতাল পরিচালওক।
সম্রাটের চিকিৎসার বিষয়ে কোনো ঘাটতি হবে না বলে জানান তিনি। সম্রাট যে ডাক্তারের অধীনে ভর্তি রয়েছেন, তিনি পরবর্তীতে সম্রাটের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান হাসপাতাল পরিচালক।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সম্রাটকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন কারারক্ষী সুবেদার মো. মুজাহিদুল ইসলাম। বুকে ব্যথা অনুভব করায় সম্রাটকে চিকিৎসার জন্য কারাগার থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে বলে জানান মুজাহিদ।
গত রবিবার ভোররাতে যুবলীগের নেতা সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে আটক করে র্যাব। সম্রাটের তথ্যের ভিত্তিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত রবিবার দুপুরে তার কার্যালয় কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালান। সেখান থেকে পিস্তল, গুলি, ইয়াবা বড়ি, বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দুটি ক্যাঙারুর চামড়া, বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার দুটি যন্ত্র ও লাঠি উদ্ধার করা হয়।
বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে রবিবার রাতে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুলের বিরুদ্ধে গতকাল তিনটি মামলা করেছে র্যাব। এর মধ্যে ঢাকার রমনা থানায় তাদের বিরুদ্ধে দুই আইনে দুটি মামলা হয়েছে। আর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় আরমানের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা হয়েছে।
- আরও পড়ুন >> ‘বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি থাকার প্রয়োজন নেই’
রমনা থানায় দুটি মামলার মধ্যে একটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে, অন্যটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শুধু সম্রাটকে আসামি করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সম্রাটের সঙ্গে আরমানকেও আসামি করা হয়।
অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।