মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকে গত কয়েকদিনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু গতকাল সোমবারই রাজধানী বাগদাদের উত্তরাঞ্চলে ১৫ জন নিহত হয়েছে। পুলিশ এবং চিকিৎসাকর্মীরা এ খবর জানিয়েছেন।
এদিকে দেশটিতে গত এক সপ্তাহের এ বিক্ষোভে বহু লোক হতাহত হওয়ায় অবিলম্বে এ প্রাণহানি বন্ধের আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
দেশটির সামরিকবাহিনী জানিয়েছে, সোমবার সদর সিটি থেকে তাদের সৈন্যবাহিনী সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। সেখানে উত্তেজনা কিছুটা কমিয়ে আসায় পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও টেলিফোনে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহাদির সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস ইরাকিবাহিনী সেখানে শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী এর উত্তরে বলেছেন, সেখানকার জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তিনি আশা করছেন, খুব শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
গত ১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ইরাকজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণের এলাকাগুলোতে এই বিক্ষোভ বেশি হয়।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, সরকারের মধ্যে লাগামহীন দুর্নীতি, চাকরির সংকট ও অত্যন্ত নিম্নমানের সরকারি পরিষেবার কারণে তারা রাজপথে নেমেছেন। তারা বলেছেন, এ সকল সমস্যার সমাধান ছাড়া তারা ফিরে যাবেন না।
এদিকে জাতিসংঘের ইরাক বিষয়ক মিশনের প্রধান জেনিন হেনিস-প্লাচার্ট বলেছেন, ইরাকে এ ব্যাপক প্রাণহানি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এ ধরনের ‘অনর্থক’ সহিংসতার কোনো অর্থ হয় না। তিনি বলেন, যারা এই প্রাণহানির পেছনে দায়ী তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা উচিত। সূত্র: রয়টার্স ও বিবিসি