আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীদের সামনে এলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে এসে ভিসি বলেন, আমি তোমাদের অভিভাবক, তোমরা আমার সন্তান। আবরারের সাথে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত।
এ কথা শোনার পরে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা বলেন, এটা একটা খুন, আপনাকে স্বীকার করতে হবে।
এরপর তিনি বলেন, আবরার হত্যায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে বহিষ্কার করা হবে। আমি শিক্ষা-উপমন্ত্রীর সাথে তোমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলেছি। তোমাদের দাবিগুলোর সঙ্গে নীতিগতভাবে আমরা একমত। তবে আমার হাতে সব ক্ষমতা নেই। ক্ষমতা অনুযায়ী তোমাদের দাবিগুলো মেনে নেব।
এত পরে কেন এলেন জানতে চাইলে ভিসি বলেন, আমি সারাদিন মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, মিটিং করেছি। এগুলো না করলে দাবিগুলোর সমাধান হবে কীভাবে। সব তো আমার হাতে নেই।
এ সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে দাবিগুলো পড়ে শুনিয়ে ঠিক কোন দাবিগুলো মানা হলো তা জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে চলে যেতে চান।
এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী উত্তেজিত হয়ে ভিসিকে বলেন, আবরার খুন হওয়ার পর আপনি কই ছিলেন? গতকাল কেন এখানে আসেননি?
ভিসি বলেন, আমি এখানেই ছিলাম। আমি রাত দেড়টা পর্যন্ত কাজ করেছি।
এই বলে ভিসি চলে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর শিক্ষার্থীরা ভিসি ভবনের নিচে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ভিসির সাথে বুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
- অভিশাপে যেন ধ্বংস হয়ে যায় এই অসুস্থ সমাজ : অভিনেত্রী শাওন
- বিশ্ব গণমাধ্যমে আবরার হত্যার খবর
- তিন দফা জানাজা শেষে চোখের জলে আবরারকে শেষ বিদায়
এর আগে, বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার একদিন পর মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে ক্যাম্পাসে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।
কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, বিকাল ৫টার মধ্যে আলোচনায় না বসায় সাড়ে ৫টার দিকে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। আধাঘণ্টা অবরুদ্ধ থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন তিনি। এরপর তার কার্যালয়ের তালা খুলে দেয় আন্দোলনকারীরা।