‘আগামী দশ বছর হবে বাংলাদেশের জন্য সোনালী যুদ্ধের সময়’

কুমিল্লা প্রতিনিধি

চৌদ্দগ্রামে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল
চৌদ্দগ্রামে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি-সংগৃহিত

‘আগামী দশ বছর হবে বাংলাদেশের জন্য সোনালী যুদ্ধের সময়। এই সময়ের মধ্যে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তখন এ দেশে আর কোন বেকার থাকবে না।’-বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকায় হোটেল ফুড প্যালেস মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

এ সময় অর্থমন্ত্রী নতুন প্রজম্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই সোনালী যুদ্ধে সকলকে অবতীর্ণ হতে হবে। আমরা ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করেছি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, আর সোনালী যুদ্ধের মাধ্যমে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত ২০টি দেশের কাতারে ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের পৌঁছুতে হবে। এজন্য দেশকে ভালবেসে দেশের প্রতি মমতা রেখে সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’

কামাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বাংলাদেশকে রূপান্তরের টার্গেট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ দেশকে ক্ষুধা এবং দারিদ্র্যমুক্ত করে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছানো হবে। আর এর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।’

এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু এমপি। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রধান যোগানদাতা হলো ছাত্রলীগ।’

তিনি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা লীগ নেতাদের অনুরোধ করে বলেন, কর্মী রিক্রুট করার সময় দেখে করবেন। কোন ডাকাত, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদকসেবীদের দলে প্রয়োজন নেই। সৎভাবে রাজনীতি করলে মানুষ অন্তর থেকে শ্রদ্ধা সম্মান করবে।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় এমপি ও সাবেক রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, চৌদ্দগ্রামে জামায়াতের অত্যাচারে একসময় আল্লাহর আরস কেঁপে উঠেছিলো। আমরা সাহস হারাইনি। জনগণের সঙ্গে ছিলাম বলে জনগণ আমাদের আবার সুযোগ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, রাজনীতির পথ অনেক লম্বা। ধৈর্য্য হারালে চলবে না। মন, প্রাণ ও দরদ দিয়ে আওয়ামী লীগ করলে দল অনেক কিছু দেয়। তাকে মুল্যায়ন করে। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মনেপ্রাণে ধারণ করে তৃণমূলের রাজনীতি করে বর্তমান অবস্থানে এসেছি। যারা পদ-পদবী পাবেন তারা দলের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করবেন, আর যারা পাবেন না তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ভবিষ্যতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে।

সম্মেলনে আগামী তিন বছরের জন্য সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভূঁইয়া হাসানকে সভাপতি ও রহমত উল্লাহ বাবুলকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া হাসানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী ইলিয়াস মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, চৌদ্দগ্রাম পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, জিএম মীর হোসেন মিরু, ভ ম আফতাবুল ইসলাম, শাহজালাল মজুমদারসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে