আনসার আল ইসলামের চার সদস্য ৫ দিনের রিমান্ডে

মত ও পথ রিপোর্ট

আনসার আল ইসলামের চার সদস্য
আনসার আল ইসলামের চার সদস্য

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের চার সদস্যের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতার উদ্দেশ্যে যাত্রাবাড়ীতে একত্রিত হয়েছিল।

আজ শুক্রবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় যাত্রাবাড়ী থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

universel cardiac hospital

যাত্রাবড়ী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাহিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতার উদ্দেশ্যে আনসার আল ইসলামের চার জঙ্গি যাত্রাবাড়ীতে একত্রিত হয়েছিল। তারা পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে সংগঠনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ঢাকায় এসেছিলেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, সিটিটিসির একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১০ অক্টোবর রাতে তাদের গ্রেফতার করে। তারা হলেন- মোহাম্মদ শাহিন ওরফে ওমর, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মো. আনিসুজ্জামান ওরফে বিপ্লব ও মো. আল মামুন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য তারা। সংগঠনের আদর্শ অনুসারে কথিত হিজরত করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সদস্য সংগ্রহ করেন। পরে তারা সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবন করমজল এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তীতে সেখানে থেকে বান্দরবানের আলীকদম এলাকায় প্রায় এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে তারা সংগঠনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন। নিরাপদে জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর জন্য পাহাড়ি এলাকায় কফিশপ চালু করেছিলেন। এ কফিশপের আড়ালে তারা নিরাপদে জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা দেয়া হতো চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে।

তারা জানায়, জননিরাপত্তা বিপন্নের উদ্দেশ্যে এবং প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে নাশকতামূলক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়।

সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কার হওয়া মেজর জিয়ার সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, মেজর জিয়া বর্তমানে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছেন। এ সংগঠনের সঙ্গে তার কতটুকু যোগাযোগ রয়েছে বা তিনি কী অবস্থায় আছেন, সেটা জানার চেষ্টা চলছে। এটা জানার জন্য এ গ্রুপের শায়েখকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে আমাদের ধারণা, তিনি এখন কিছুটা নিষ্ক্রিয়। কারণ তিনি যদি সক্রিয় থাকতেন তাহলে আমাদের গোয়েন্দা ইন্টেলিজেন্সিতে তার বিষয়ে তথ্য উঠে আসতো।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে