বুয়েট প্রশাসন হলে অবৈধভাবে থাকা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামার প্রথম দিনেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের রুমে সিলগালা করে দিয়েছে। এছাড়া বুয়েট ছাত্রলীগের অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত আহসান উল্লাহ হলের ১২১ নাম্বার রুমও সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পরদিন এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।
আজ শনিবার বুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি জামি উস সানির কক্ষ সিলগালা করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলের ৩২১ নম্বর কক্ষে থাকতেন ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র জামি উস সানি।
বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান রুমটি সিলগালা করে দেন।
অন্যদিকে আবরার হত্যার প্রধান আসামি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের রুমও সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। তিনি শেরেবাংলা হলের ৩০১২ নম্বর রুমে থাকতেন। আবরার হত্যায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন রাসেল।
এর আগে বুয়েটের হলগুলো থেকে সিট দখলদারিত্ব উচ্ছেদ ও সাংগঠনিক ছাত্র সংগঠনগুলোর অফিস সিলগালা করার নির্দেশনা জারি করে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. সাইদুর রহমানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেন।
এতে বলা হয়, অবৈধভাবে যারা হলের সিট দখল করে আছে, তাদেরকে হলের সিট খালি করা, সাংগঠনিক ছাত্র সংগঠনগুলোর অফিস কক্ষ বন্ধ করে তা সিলগালা করার জন্য ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ব্যবস্থা নেবেন।