রাজধানী ঢাকায় গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মাঝে মৈত্রীবন্ধন আরও দৃঢ় করার প্রত্যয়ে শুক্রবার উৎসব শুরু হয়।
আগামী ১০ দিন দুই দেশের শিল্পীরা দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন মাতিয়ে রাখবেন। উৎসবটি অষ্টমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ উৎসবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৩৬টি নাট্যদল এবং ভারতের চারটি দলসহ আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য, পথনাটকের ১২১টি সংগঠনের প্রায় চার হাজার শিল্পী অংশ নিচ্ছেন।
শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল ও সঙ্গীত আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তন এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মঞ্চনাটক, পথনাটক, আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য, মূকাভিনয় পরিবেশন করা হবে।
উন্মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্ব প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এবং মঞ্চনাটক প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে। উৎসব চলবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত।
উদ্বোধনী পর্ব স্পন্দনের শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। সন্ধ্যায় বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ও ভারতের নাট্যজন মেঘনাদ ভট্টাচার্য উৎসবের উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। এছাড়া বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী, ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক ড. নিপা চৌধুরী, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি নাট্যজন মান্নান হীরা এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল নাট্যজন কামাল বায়েজীদ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ।
স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসব পর্ষদের সদস্য সচিব আকতারুজ্জামান এবং সভাপতিত্ব করেন উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ।
তারা বলেন, গঙ্গা-যমুনা উৎসবটি এখন দেশের সর্ববৃহৎ একটি সাংস্কৃতিক উৎসব। আগামী কয়েকদিন নানা পরিবেশনা নিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার শিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মী এখানে সমবেত হবেন।
এটি শিল্পীদের মধ্যে শিল্পভাবনার বিনিময়ে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। আমরা যত বেশি সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে যাব তত বেশি সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাব।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।