বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর জাতিসংঘের দেয়া বিবৃতির জন্য বাংলাদেশে সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পোকে তলব করে ব্যাখ্যা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ রোববার সকালে মিয়া সেপ্পো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাজির হয়ে জাতিসংঘ উইংয়ের মহাপরিচালক নাহিদা সোবহানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
গত ৬ অক্টোবর রাতে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এমনকি জাতিসংঘও এ ব্যাপারে বিবৃতি দেয়।
গত বুধবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচারের আহ্বান জানায়।
বুধবার জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় থেকে আবরার হত্যার নিন্দা জ্ঞাপন করে এবং হত্যার সুষ্ঠু বিচারের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে ব্যক্তিগত মতপ্রকাশের কারণে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় এবং ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, জাতিসংঘের প্রতিনিধির কাছে দুটি বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। একটি হলো, মুক্তভাবে মতপ্রকাশের সাথে আবরারকে হত্যার যোগসাজশের বিষয়টি উল্লেখ করা। অন্যটি হলো একজন ছাত্রের মৃত্যুর সাথে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টিকে সম্পৃক্ত করা।
- আওয়ামী লীগ ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে নয় : সেতুমন্ত্রী
- ‘বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাতেও রোল মডেল’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে অনেকেই নানা মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা-মন্তব্য করেছেন। সরকার কাউকে তার মত প্রকাশে বাধা দেয়নি। এমনকি আবরার খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত সে ফেসবুকে কী লিখেছে, তা সরকারের ধারণায় ছিল না।
উন্নত বিশ্বে যখন কোনো ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটে, তখন তা নিয়ে জাতিসংঘকে কথা বলতে দেখা যায় না। বাংলাদেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই তাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়ানো হয় কেন এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানতে চায়।