বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অবৈধভাবে অবস্থানকারী ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘সব প্রভোস্টরা শনিবার থেকে অবৈধদের উচ্ছেদের কাজ শুরু করেছেন। প্রায় ৯০ ভাগ ছাত্র যারা অবৈধভাবে ছিলেন তাদের সিটগুলো ফাঁকা করা হয়েছে। বাকিগুলোও শিগগিরই ফাঁকা হয়ে যাবে।
আজ রোববার দুপুরে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ছাত্র কল্যাণ পরিচালক বলেন, শনিবার হলের কয়েকটি রুম সিলগালা করা হয়েছে। হলগুলোতে বৈধ ছাত্রদের থাকার জন্য নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, এরপর কেউ হলে থাকলে সে অবৈধ। ৯ টার্ম একজন ছাত্র হলে থাকতে পারেন। আর পোস্ট গ্রাজুয়েটদের জন্য একটি হল রয়েছে, সেখানে চার টার্ম থাকা যায়। প্রভোস্ট অনুমতি দিলে ছয় টার্ম পর্যন্ত অবস্থান করতে পারেন।
মিজানুর রহমান বলেন, হলগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে গত দুদিনে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অধিকাংশ আসামি গ্রেফতার হয়েছে। সরকার এ বিষয়ে খুবই সিরিয়াস। তদন্তও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আশা করি, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আস্থা ফিরে আসবে।
একাডেমিক কার্যক্রমের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের ক্লাস চলছিল না। ১৯ তারিখ থেকে টার্ম ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়ত সেই তারিখে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে না। আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং করে আরেকটি তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
- আওয়ামী লীগ ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে নয় : সেতুমন্ত্রী
- জাপানে শক্তিশালী তাইফুন হাজিবিসের আঘাতে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিবিরোধী স্ট্যাটাস দেয়ায় বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ৬ অক্টোবর রাতে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ। এ ঘটনার পর থেকে আবরার হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল বুয়েট। হলগুলোতে ছাত্রলীগের নানা নির্যাতনেরও চিত্র ফুটে আসে গণমাধ্যমে। এরপর অবৈধ ছাত্রদের হলছাড়া করার উদ্যোগ নেয় বুয়েট প্রশাসন।