জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সভ্য মানুষের মতো ক্ষমতা থেকে সরে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি নেত্রী নন, নাট্যকার। সভ্যভাবে সরে যান।
আজ রোববার বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারের দাবিতে ‘জমায়েত ও শোক র্যালি’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে একথা বলেন ড. কামাল।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে পূর্ব ঘোষিত এ জমায়েতে ঐক্যফ্রন্টের ছোট ছোট দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বিএনপির বিভিন্ন সারির নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
গত রোববার শিবির সন্দেহে ডেকে নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ইতিমধ্যে এরা গ্রেপ্তারও হয়েছে।
এই হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পূর্বঘোষিত জমায়েত শেষে শোক র্যালি নিয়ে বের হতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। শোক র্যালিটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
এ সময় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের কিছুটা কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়।
বাধা দেয়ায় সেখানেই দাঁড়িয়ে সরকারের কড়া সমালোচনা করেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
তিনি বলেন, আজ দেশের মানুষকে বন্দি করে রেখেছে এই সরকার। কেউ কোনো কথা বলতে পারে না। সভা-সমাবেশ করতে পারে না। শোক র্যালি করতে পারে না। কিন্তু সরকার দলের লোকেরা ঠিকই সব কিছুই করতে পারে।
র্যালি করতে না দেয়ায় তিনি পুনরায় আবারও আগামী ২২ অক্টোবর শোক র্যালি ঘোষণা করেন।
র্যালিতে গাড়ির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। পুলিশের বাধার মুখে তাকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা যায়।
এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু সাঈদ, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ র্যালিতে অংশ নেন।