দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ক্যাসিনোকাণ্ডে ৪৩ গডফাদারের দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পেয়েছে।
এরইমধ্যে মালয়েশিয়ায় যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ফ্ল্যাট ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সুনির্দিষ্ট তথ্য মিলেছে। গত এক সপ্তাহে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পায় দুদক।
ক্যাসিনো বন্ধে অভিযান শুরুর পর নাম আসতে থাকে যুবলীগসহ সরকারদলীয় অনেক নেতার। গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাটসহ বেশ কয়েকজনকে। অভিযানকালে ক্যাসিনোয় জড়িতদের বাসায় মিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
পরে ক্যাসিনোয় জড়িতদের অবৈধ সম্পদের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক। গেল সপ্তাহে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সাথে বৈঠক হয় র্যাব এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট -বিএফআইইউ-এর মহাপরিচালকের সাথে। ক্যাসিনোয় জড়িতদের বিষয়ে দুদককে বেশকিছু তথ্য দেয় র্যাব এবং বাংলাদেশ ব্যাংক।
দুর্নীতি দমন কমিশন সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত গণমাধ্যমকে জানান, ইতিমধ্যে ৪৩ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের সম্পদের বিবরণী নেয়া হচ্ছে।
অনুসন্ধানে সম্রাটের মালয়েশিয়ার আমপাং তেয়ারাকুণ্ডতে ফ্ল্যাটের তথ্য পেয়েছে দুদক। মালয়েশিয়া সরকারের সেকেন্ড হোম প্রকল্পের আওতায় ফ্ল্যাট কিনেন সম্রাট। এছাড়া মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকেও তার লেনদেনের তথ্য রয়েছে।
সম্রাট ছাড়াও ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত ৪২ জনের তথ্য এখন দুদকের অনুসন্ধান টেবিলে। ক্যাসিনোর পাশাপাশি তারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে।
- দুদক চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চাইলেন তাপস
- আবরারের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত জানান, সম্পদের আয়ের উৎস যদি সঠিকভাবে না পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা এবং মানি লন্ডারিংয়ের মামলা হতে পারে।
ক্যাসিনোর মাধ্যমে যারা অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব।