নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা এক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ ৫৬ জনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচারক আগামী ৩০ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন রেখেছেন।
আসামিদের পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকীসহ কয়েকজন আইনজীবী।
আব্বাস-আলাল ছাড়াও মামলার আসামিদের মধ্যে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, মীর সরাফত আলী সফু, আজিজুল বারী হেলাল, সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
এদিন কয়েকজন আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
২০১২ সালের ২ অক্টোবর জোটের সভা সামনে রেখে নেত্রকোণো শহরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ প্রায় ২০ জন আহত হন। আগুন দেওয়া হয় সভামঞ্চে।
এর প্রতিবাদে ওইদিন বিকালে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজধানীর নয়া পল্টনে সমাবেশ করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে, দুটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। পরে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
- ঘুমন্ত তুহিনকে বাবা কোলে করে নিয়ে আসার পর খুন করেন চাচা
- গ্যাস সংযোগের দিন শেষের ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী
এ ঘটনায় পল্টন থানার এসআই ইদ্রিস আলী মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে পরের বছর ৩১ ডিসেম্বর ৫৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন একই থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম।