সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শিশু তুহিন মিয়া বীভৎসভাবে হত্যার ঘটনায় তার বাবা ও দুই চাচার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যামকান্ত সিনহা এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোল্লা আবু তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিমান্ডের আসামিরা হলেন- তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুর মুছাব্বির এবং জমশেদ আলী।
আদালত সূত্র জানায়, এই হত্যাকাণ্ডে শিশুটির বাবা ও চাচাদের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় পুলিশ তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে আবেদন করে। পরে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
শিশু তুহিনকে হত্যার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুই স্বজন ১৪৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে পুলিশ তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।
দুই স্বজনকে ১৪৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য বিকাল পৌনে চারটায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খালেদ মিয়ার আদালতে তোলা হয়। আদালতে তোলার আগে সাংবাদিকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার কিছু ক্লু আমাদের হাতে এসেছে। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুর বাবা বাছির, চাচা আবদুল মোচাব্বির, জমশেদ, নাছির ও জাকিরুলসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্য থেকে দুই স্বজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আর বাবা ও দুই চাচাকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার সকালে রাজানগর ইউপির কেজাউরা গ্রামে রাস্তার পাশে কদম গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে সময় তুহিনের পেটের মধ্যে ঢোকানো ছিল দুটি ছুরি। ডান হাত গলার সঙ্গে থাকা রশির ভেতরে ঢোকানো ছিল। কেটে নেওয়া হয়েছিল শিশুটির কান ও যৌনাঙ্গ।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে দিরাই থানায় ১০ জনের নামে মামলা করেন তুহিনের মা মনিরা বেগম।