চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৯৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৭২৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এটি কিছুটা কম। তুলনামূলক হিসাবে এই সময়ে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, চলমান ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলসহ (ইপিজেড) রপ্তানি খাতে বাংলাদেশের আয় ৬৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি ব্যয় হয় ৮৬২ কোটি ২০ লাখ ডলার।
আগস্ট শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ১৯৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময় ছিল ২১০ কোটি ডলার।
বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত রয়েছে, যা গত বছর ছিল ঋণাত্মক। আগস্ট শেষে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ৭০ লাখ ডলার ঋণাত্মক ছিল।
গত জুলাই-আগস্ট মাসে সেবাখাতে বেতন-ভাতা বাবদ বিদেশিদের পরিশোধ করা হয়েছে ১৫৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ এ খাতে আয় করেছে ১০৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। সেবা-বাণিজ্যে দুই মাসে দেশে ঘাটতি ৫১ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
আলোচিত সময়ে দেশে রেমিট্যান্স, বিদেশি বিনিয়োগ ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বেড়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এসেছে ৩০৪ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৭২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
- ‘হান্ড্রেড বল’ ক্রিকেটের চূড়ান্ত তালিকায় বাংলাদেশের ১১ জন
- প্রাথমিকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়
দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ৭৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর মধ্যে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ৪২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের চেয়ে এফডিআই বেড়েছে ৭ দশমিক ১২ শতাংশ ও নিট বেড়েছে ৭ শতাংশ।
একই সময়ে দেশের শেয়ারবাজারে ২ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, যা আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৫০ লাখ ডলার।