বেসরকারি মোবাইল কোম্পানি গ্রামীণফোনের কাছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ১২৫৮০ কোটি টাকা পাওনা আদায়ের ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
ফলে এ সময়েরর মধ্যে ওই অর্থ আদায় করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ৫ নভেম্বর আপিল শুনানির জন্য দিন ঠিক করে আদেশ দেন আদালত।
গ্রামীণফোনের দায়ের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে ১৭ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আবদুল হাকিম ও ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন শরীফ ভূঁইয়া ও তানিম হোসেইন। অন্যদিকে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী তানিম হোসেইন।
প্রায় ২৭টি খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করে গ্রামীণফোনকে গত ২ এপ্রিল চিঠি দেয় বিটিআরসি। এই চিঠির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গ্রামীণফোন নিম্ন আদালতে একটি মামলা করে।
এরপর গত ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত গ্রামীণের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন নামঞ্জুর করেন। নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন। ওই আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে দুই মাসের জন্য গ্রামীণফোনের কাছ থেকে টাকা আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ৫ নভেম্বর এ মামলার আপিলের ওপর শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত।