ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতির এক মাস পর ডাকসুর অনুষ্ঠানে রাব্বানী

ক্যাম্পাস ডেস্ক

জিএস গোলাম রাব্বানী।
ডাকসুর অনুষ্ঠানে হাস্যেজ্বল ভিপি নুরুল হক নুর ও জিএস গোলাম রাব্বানী। পাশে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদাবাজিসহ অনিয়মের অভিযোগে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতির এক মাস পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী।

বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পায়রা চত্বরে ডাকসুর উদ্যোগে সাইকেল সেবা ‘জোবাইক’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এদিন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও জিএস রাব্বানী পাশাপাশি চেয়ারে বসেন। এসময় তাদের দুজনকে হাস্যেজ্বল দেখা গেছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠার পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। তাদের জায়গায় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য।

এরপর রাব্বানীকে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেও সরিয়ে দেয়ার দাবি ওঠে। এমতাবস্থঅয় গত ২৬ সেপ্টেম্বর ডাকসুর কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকেও ছিলেন না রাব্বানী। তবে রাব্বানী বারবার বলে আসছিলেন তিনি ডাকসুর পদ ছাড়বেন না।

ছাত্রলীগের পদ থেকে সরে যাওয়ার পর ২ অক্টোবর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ খোকনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে ক্যাম্পাসে আসেন রাব্বানী। এরপর আবার বিরতি দিয়ে রাব্বানী ক্যাম্পাসে আসেন ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার। বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস উপলক্ষে তার স্বাক্ষরে একটি বাণীও আসে।

এর পর বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের ‘টর্চার সেল’ বন্ধে উদ্যোগ নেবেন এ কথা জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠান জিএস রাব্বানী।

রাব্বানীর ছাত্রলীগের পদ হারানোর পর তিনি ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার ‘নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন’ বলে বক্তব্য দিয়েছিলেন ভিপি নুরুল হক নুর। তার এই দাবি নাকচ করে রাব্বানী প্রশ্ন করেছিলেন, তাকে পদত্যাগ করতে বলার ‘নুরু কে?’ তবে বুধবারের অনুষ্ঠানে এই দুই ছাত্রনেতা পাশাপাশি বসেন। উভয়কেই হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় গল্প করতে দেখা গেছে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রধান অতিথি এবং ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুন্দর, নিয়ন্ত্রিত ও সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জোবাইক পরিচালিত হবে। পরিবেশবান্ধব এই ব্যবস্থা যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে। হয়ে উঠবে বিজ্ঞানমনস্ক। প্রযুক্তিকে সময় অনুযায়ী ব্যবহারের অভ্যাস তৈরি হবে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, নেতা হওয়ার পরই ছাত্রদের কল্যাণের কথা ভাবতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এজন্য সকলকে যার যার অবস্থান থেকে পরিবেশ সচেতনতা ও জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে