বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণে তৎপর বিএনপি। দলটির চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে এ বৈঠক।
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় সূত্র জানায়, কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কীভাবে বিদেশিদের দিয়ে সরকারের ওপর চাপ তৈরি করা যায় সে লক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা উপায় খুঁজছেন। বিশেষ করে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির বিষয়টি সামনে রেখে তারা আরও সক্রিয় হতে চাইছেন।
ইতোপূর্বে এ ইস্যুতে বিদেশি গণমাধ্যমে এবং বিদেশি কূটনীতিকদের দলের পক্ষ থেকে যেভাবে ব্রিফ করা হয়েছে, শিগগিরই সরকারের কর্মকাণ্ডসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আবারও বিদেশি গণমাধ্যম এবং বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করার চিন্তা করছে দলটি।
সূত্র জানায়, প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক মঞ্চে আরও সরব হওয়ার নীতি গ্রহণ করেছেন। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে যারা দিল্লির সাউথ ব্লকের সঙ্গে যোগাযাগ রাখেন তারা তাদের মতো করে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বজায় রেখে কাজ করবেন। অর্থাৎ প্রকাশ্যে ভারতবিরোধী ভাব থাকলেও স্বার্থ উদ্ধারে অন্দরমহলে তারা উদারতার অভাব দেখাবেন না।
তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের বৈঠক প্রসঙ্গে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তারা কেউ বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি।
বৈঠকে উপস্থিত একজন নারী সদস্য বলেন, ‘কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যে কারণে এ বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।’
বৈঠকে উপস্থিত আরেকজন সদস্য জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় কারাবন্দী রাখা হয়েছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। এ মামলায় জামিন তার অধিকার। সে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কীভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকষর্ণ করা যায়, তারা কীভাবে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে সে বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বিএনপির ভারত নীতি নিয়ে প্রশ্ন করলে ওই নেতা বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো একটি দেশ নয়; প্রতিবেশী, বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগী সকল দেশের সঙ্গে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বজায় রাখা বিএনপির নীতি। এ নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে দেশের স্বার্থে বিএনপি সবসময় জনগণের কথা বলবে।’
- বিএসএফ সদস্য নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যায় যা বলল বিজিবি
- ভারতের সঙ্গে ফেনী নদীর পানি চুক্তির বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট
বৈঠকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির প্রধান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, মীর হেলাল, জেবা খান, শামা ওবায়েদ, খন্দকার আহাদ, ইশরাক হোসেন প্রমুখ অংশ নেন।