প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাইফ হাসানের সেঞ্চুরি চারটি। যার দুটিকেই রূপ দিয়েছেন ডাবলে! ওয়ালটন ২১তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে আজ শুক্রবার চট্টগ্রামে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন সাইফ।
সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন আগের দিনই। পায়ে টান লাগায় ১২০ রান নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। শুক্রবার দ্বিতীয় দিন আবার ব্যাটিংয়ে নেমে সেটিকে ডাবলে রূপ দিয়েছেন।
ঢাকা বিভাগের ব্যাটসম্যান রংপুরের বিপক্ষে অপরাজিত থাকেন ক্যারিয়ার সেরা ২২০ রানে। ছাড়িয়ে যান ২০১৬-১৭ মৌসুমে জাতীয় লিগেই ঢাকার হয়ে বরিশালের বিপক্ষে করা তার আগের সেরা ২০৪ রানকে।
যদিও ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে তার নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা ছিল না। দলের চাওয়া মেনে ব্যাটিং করেছেন বলেই দিনের খেলা শেষে বললেন সাইফ, নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা ছিল না (ডাবল সেঞ্চুরি করার ব্যাপারে)। দলের পরিকল্পনা ছিল চা বিরতি পর্যন্ত ব্যাটিং করা, আমি সেটা মাথায় রেখেই খেলেছি।
২০১৯ সালটা দুর্দান্ত কাটছে সাইফের। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তিন সেঞ্চুরিতে ৮১৪ রান করে ছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আগস্টে সেঞ্চুরি করেন শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে একদিনের ম্যাচে। কদিন আগে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে সিরিজ নির্ধারণী ওয়ানডেতেও তার ব্যাট থেকে আসে সেঞ্চুরি।
শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার কারণে জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে নেমে করলেন ডাবল সেঞ্চুরি। প্রথম রাউন্ডে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমরুল কায়েস। ইমরুলের সেই ডাবল সাইফকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে বলেও জানালেন তরুণ ব্যাটসম্যান।
সাইফ বলেন, এই বছর আমি একদিনের ম্যাচে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছি। আমি শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে গিয়ে একটি সেঞ্চুরি করেছি। শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলের বিপক্ষেও একটি সেঞ্চুরি ছিল। আর প্রথম শ্রেণির ম্যাচে দুই বছর আগে ডাবল সেঞ্চুরি করেছি। আমি ইমরুল ভাইয়ের ইনিংসও (অপরাজিত ২০২) দেখেছি এবং আমি ভেবেছি এটা আমার জন্য একটি সুযোগ, আমার এটা করা উচিত ।