‘নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজিসহ সব ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ অভিযান কন্টিনিউ (অব্যাহত) করতেই হবে। আমি শুদ্ধি অভিযান বলব না, আমি বলব দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান। দুর্নীতিবাজ, দখলবাজরা দুর্নীতি ও দখলের চিন্তা যত দিন করবে; তত দিন এই অভিযান চলবে।’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে আয়োজিত এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ক্যাসিনো ও টেন্ডারবাজির পর কোন খাতে অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো সেক্টরকে আমরা লক্ষ্য করছি না। যেখানে দেখছি অনিয়ম হচ্ছে, আইন অমান্য হচ্ছে, দুর্নীতি হচ্ছে, সেই জায়গায়ই আমরা দেখছি। আমরা কোনো এলাকাকে টার্গেট করছি না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। আমরা অবশ্যই টেন্ডারবাজ, দুর্নীতিবাজদের কন্ট্রোলে নিয়ে আসব। প্রধানমন্ত্রী গত মেয়াদে বলেছিলেন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দূর করবেন। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসকে তিনি দূর করেছেন।’
মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্সের নীতি ঘোষণা করেছেন। সেই নীতিতে সরকার রয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
নতুন প্রজন্মের কাছে আহ্বান রেখে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘তারা যেন এ ভুল কাজটি (মাদক সেবন) না করে। তাহলে কিন্তু তারা হারিয়ে যাবে। আমরা চাই না, আমাদের নতুন প্রজন্ম হারিয়ে যাক।’
জনগণ থেকে শুরু করে যে যেখানে আছে, তাদের সবার কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবার সহযোগিতা পেলে আমরা শিগগিরই সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। মন্ত্রণালয়ের যে দায়িত্ব রয়েছে, তা আমরা রুটিনমাফিক করে যাচ্ছি। এখনই বলতে পারব না, কালকে থেকে সবকিছু করে ফেলব! ধীরে ধীরে আমরা আমাদের লক্ষ্যের দিকে যাচ্ছি।’
আবরার হত্যার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটা দুঃখজনক ঘটনা। এতে আমরা বিস্মিত হয়েছি। কয়েকজন, ওরাও কিন্তু মেধাবী ছিল। মেধাবী না হলে বুয়েটে চান্স পায় না। সেই মেধাবী ছাত্রগুলোর মেধা এভাবে বিকৃত হবে! এটা আমাদের ধারণা ছিল না। আমরা ব্যথিত, দুঃখিত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু দুঃখ প্রকাশ করিনি। সঙ্গে সঙ্গে সেই অপরাধীদের ধরেছি। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হবে। নির্ভুল একটা চার্জশিট যাতে যায়, সেই ব্যবস্থা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা ন্যায্যবিচার পাবো।’
বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।