বুড়িগঙ্গা, তুরাগসহ ৫৪ নদীর মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের উদ্যোগ

বিশেষ প্রতিবেদক

দূষিত নদীর তালিকায় তুরাগের অবস্থান শীর্ষে। ফাইল ছবি
দূষিত নদীর তালিকায় তুরাগের অবস্থান শীর্ষে। ফাইল ছবি

সরকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগসহ ৫৪টি নদীর মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগ সফল করতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)  কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন সচিব আবদুস সামাদ।

আজ শনিবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের খোলামোড়া খেয়াঘাটে এলাকায় নদীর সীমানা খুঁটি স্থাপন, ওয়াকওয়ে, তীররক্ষা ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনকালে সচিব এ কথা জানান।

universel cardiac hospital

সচিব বলেন, নদী দখল মুক্তের কাজ শেষ। এবার দূষণমুক্তের কাজ শুরু হবে। সব অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে নদী দখল ও দূষণ রোধ আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আবদুস সামাদ বলেন, নদী তীরের পলিথিন বর্জ্য উত্তোলনে গ্র্যাব ড্রেজার সংগ্রহ করা হবে। নদীর দূষণরোধে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে কাজ করা হবে। ঢাকা শহরের খালগুলো উদ্ধারে কাজ করব।

নদী দখলমুক্ত রাখতে নদীর দুই তীরে অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।

নদী রক্ষায় সরকরের নেয়া উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, নদী তীর দখল ও দূষণরোধে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজ কাজ করছে। জনগণের সহযোগিতা ও সরকারের উদ্যোগ ছাড়া দখল ও দূষণরোধ সম্ভব নয়।

বিআইডব্লিউটিএ নদী তীরবর্তী অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ১০০টি আরসিসি সিঁড়ি, ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা খুঁটি ও তিনটি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হবে।

এরই মধ্যে নদী তীরভূমিতে ৬০০টি বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। বায়ু দূষণরোধে নিমগাছ, পাইকর গাছ, কৃঞ্ষচূড়া, রাধাচূড়া, তালগাছসহ বিভিন্ন গাছের চারা রোপন করা হবে বলেও জানান নৌপরিবহন সচিব।

নদীরক্ষা কর্মসূচিগুলোকে চ্যালেঞ্জ মনে করলেও বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ৫০ কার্যদিবসে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএ। চার পর্যায়ে পরিচালিত অভিযানে চার হাজার ৭৭২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অবমুক্ত হয় নদীর ১২১ একর জায়গা।

দখলদারদের থেকে জরিমানা করা হয় ১০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। আর জব্দকৃত মালামাল নিলামে বিক্রি করে আয় হয়েছে আরও ১০ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিদ সৈয়দ আবুল মকসুদ, নৌ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম এম তারিকুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য (অর্থ) ও প্রকল্প পরিচালক নুরুল আলম, বিআইডব্লিউটি’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে