আগামী পাঁচ বছরে ডিজিটাল সেবার বিস্তৃতি ও উন্নতি ঘটিয়ে জাতিসংঘের ই-গভর্ন্যান্স উন্নয়ন সূচকে সেরা ৫০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান রিপোর্ট প্রকাশ ও এটুআইয়ের তিনটি নাগরিক সেবা উদ্বোধনকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জয় বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জাতিসংঘের আইসিটি ইন্ডিকেটর ডিজিটাল গভর্ন্যান্স ইনডেক্সের সেরা ৫০ এর মধ্যে আমরা আসতে চাই। গত কয়েক বছরে আমরা (ডিজিটাল গভর্ন্যান্স ইনডেক্সে) ৪০-৫০ ধাপ এগিয়েছি। আগামী পাঁচ বছরে আমরা কেন আরও ৫০ ধাপ এগোব না?’
২০১৮ সালের জাতিসংঘের ই-গভর্ন্যান্স সার্ভে প্রতিবেদন বলছে, ই-গভর্ন্যান্স ডেভেলপমেন্ট সূচকে ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে বংলাদেশের অবস্থান ১১৫তম। এই সূচকে সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে ডেনমার্ক ও সর্বনিম্ন অবস্থানে সোমালিয়া। দুই বছর পর পর এ জরিপ চালায় জাতিসংঘ।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার ১০ বছর পর ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছে আইসিটি বিভাগ।
এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, ‘তখন কোনো কিছুই ডিজিটালাইডজ হয়নি। আইসিটির ফান্ডামেন্টাল ডিজিটাল সার্ভিস, ডেটাবেজ, স্থাপনা কিছু হয়নি। ১০ বছর আগে করলে তা অফলদায়ী চর্চাই হতো।’
ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের আওতায় সরকার সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইবার অপটিকক্যাবল দিয়ে ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। প্রায় সবগুলো শহরেই রয়েছে ফোরজি সেবা।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা জয় বলেন, “দেশের ‘আইটি সিস্টেম’ আধুনিক। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ৩০০টি পৌরসভায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে চায়। ডিজিটাল মিউনিসিপ্যালিটি সার্ভিসে আমরা আরও অনেক সেবা যোগ করতে চাই। ২০২১ সালের মধ্যে নাগরিক সেবাগুলো মোবাইল ফোনে আঙুলের ছোঁয়ায় অথবা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে আমরা নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে চাই।”
অনুষ্ঠানে আইসিটির ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্পের আওতায় ১০০ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে ল্যাপটপ দেয়া হয়।