সরকারের সঙ্গী মেনন মহাসত্যটি স্বীকার করেছেন : রিজভী

মত ও পথ প্রতিবেদক

রিজভীর সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের সমালোচনা করে বলেছেন, নিশি রাতের সরকারের সঙ্গী রাশেদ খান মেনন যেকোনো কারণেই হোক, এবার নিজের মুখে মহাসত্যটি স্বীকার করেছেন। হয়তো একসময় ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদরাও এমন কথা বলবেন।

আজ রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার বরিশালে এক অনুষ্ঠানে ১৪দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন বলেন, আমি সাক্ষী গত জাতীয় নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারে নাই।

মেননের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে  রিজভী বলেন, এই বক্তব্যের পর নৈতিকতা ও বাস্তবতার দিক দিয়ে সরকারের উচিত সংসদ ভেঙে দেয়া। সংসদে বহাল থাকার নৈতিক অধিকার তাদের নেই। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। তাই বর্তমান সরকারের যদি বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকে, তাহলে আজকেই তাদের পদত্যাগ করে সরে যাওয়া উচিত।

সরকারের সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, এখন দেশে ভানুমতির খেল চলছে। তারা নানা তেলেসমাতি দেখানোর চেষ্টা করছে। চেষ্টা করছে জনগণকে ধোঁকা দেয়ার।

‘দুর্নীতিবাজরা গণভবনে আসতে পারবে না’-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে রিজভী বলেন, এই কথাটি জনমনে হাসি-তামাশার উদ্রেক করেছে। কারণ কে কাকে দুর্নীতিবাজ বলছে? অপ্রিয় হলেও সত্য, খোদ গণভবনই এখন দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রণে।

রিজভী বলেন, গণভবন যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে থাকে তাহলেই কেবল দুর্নীতিবাজদের কবল থেকে গণভবন মুক্ত হবে এবং সারাদেশের দুর্নীতিবাজরা জবাবদিহিতার আওতায় আসবে।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, নিশি রাতের সরকারের সঙ্গী রাশেদ খান মেনন যেকোনো কারণেই হোক, এবার নিজের মুখে মহাসত্যটি স্বীকার করেছেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর কোনো নির্বাচন হয়নি।’ অবশেষে সত্য কথাটা অকপটে জনগণের সামনে স্বীকার করতে হলো মেনন সাহেবকে।

তিনি বলেন, বিবেকের তাড়নায় মেনন সাহেব যে সত্যকথাগুলো বলতে শুরু করেছেন, হয়তো কয়েকদিন পর ওবায়দুল কাদের এবং হাসান মাহমুদরাও বলবেন। আর এই কথাগুলো যতই তাদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসবে ততই বন্ধক রাখা আত্মা মুক্ত হবে।

বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এটা প্রমাণিত গত এক দশকে গণভবনের উৎসাহ ও প্রণোদনায় চলেছে ‘শিষ্টের দমন দুষ্টের লালন’। সুতরাং বর্তমানে আসল সমস্যা গণভবনে। এখন দেশকে বাঁচাতে হলে, জনগণকে বাঁচাতে হলে দেশে দুর্নীতিবাজদের লালনকারী নেপথ্য রাজা-বাদশাহ-আমির-ওমরাদের পতন ঘটাতে হবে। গণভবনকে দুর্নীতিবাজদের দখলমুক্ত করে জনগণের গণভবন জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়া এখন সময়ের দাবি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে