ভোলার বোরহানউদ্দিনে জনতার বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে জেএসডি সভাপতি আ স ম রবের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ কিংবা অন্য কারও দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না সে বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে কারও অবহেলা প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশের সঙ্গে রোববার ‘তৌহিদি জনতা’র সংঘর্ষে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবকের হ্যাক করা ফেসবুক আইডি থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট’ দেয়া কেন্দ্র করে দিনভর এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২ ছাত্রসহ চারজন নিহত এবং ৩০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রোববার সকাল ১০টায় বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ঈদগাহ মাঠে সমাবেশ শেষে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষে গুলি, টিয়ারশেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
সংঘর্ষে আহত ৪৫ জনকে ভোলা সদর ও ৩০ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বাকিদের বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টহল জোরদার করার পর বিকেলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- বোরহানউদ্দিন উপজেলার মহিউদ্দিন পাটওয়ারীর মাদরাসাছাত্র মাহবুব (১৪), উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেনের কলেজপড়ুয়া ছেলে শাহিন (২৩), বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহফুজ (৪৫) এবং মনপুরা হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা মিজান (৪০)।