ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ ভূঁইয়া ও জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দুটি করা হয়। জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন। আর খালেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
আলোচিত ঠিকাদার শামীমের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি নয় লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর খালেদের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ১৮ সেপেটম্বর ঢাকার ক্লাবপাড়ায় অভিযান শুরুর প্রথম দিনেই গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি খালেদ ভূঁইয়া। তার বাসা থেকে পাওয়া যায় ৫৮৫টি ইয়াবা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং অবৈধ অস্ত্র।
একই সঙ্গে অভিযান চলে ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে। খালেদ ফকিরাপুলের ওই ক্লাবের সভাপতি। কয়েক ঘণ্টার অভিযানে ওই ক্লাবে মদ আর জুয়ার বিপুল আয়োজন পাওয়া যায়। সেখান থেকে ২৪ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়।
পরে ওই ঘটনায় অস্ত্র, মাদক ও মুদ্রাপাচার আইনে খালেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয় গুলশান থানায়। আর মতিঝিল থানায় মাদক আইনে করা হয় আরেকটি মামলা। বর্তমানে এসব মামলায় কারাগারে আছেন খালেদ।
- সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবি তুলে ধরলেন দশ ক্রিকেটার
- পাকিস্তানে ভারতের হামলায় সেনাসহ ২০ জন নিহতের দাবি
অন্যদিকে, যুবলীগ নেতা ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে আসা জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয় ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকতনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে। সেখান থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানায় র্যাব। তখন শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে শামীমের বিরুদ্ধে মাদক, মুদ্রা পাচার ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা হয়। শামীমও রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন।