ভোলার বোরহানউদ্দিনে জনতার বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত, পুলিশ ও অসংখ্যা জনতা আহত হওয়ার ঘটনা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, এ ঘটনায় যদি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো নিষ্কৃয়তা দেখা দেয় তখন আমরা বিষয়টি দেখব।
ভোলার ঘটনা নজরে আসার পর আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। আইনজীবী মো. রনিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভোলার হতাহতের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রনিউল ইসাম।
তিনি আদালতে বলেন, পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তাই পুলিশ দিয়ে তদন্ত করলে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া পুলিশের ওপর আগে কারা হামলা চালিয়েছে বা কে কে উস্কানি দিয়েছিল তাদের বের করা দরকার। তাই ভোলায় ওই ঘটনার নিরপেক্ষ তথা বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আদালতের জনস্বার্থে স্ব-প্রণোদিত আদেশ চেয়েছিলাম।
তখন আদালত আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ভোলায় সংর্ঘষের ঘটনা সরকার দেখছেন। আহত ও নিহতের ঘটনায় ইতোমধ্যেই তদন্তও শুরু হয়েছে। আমরা এ মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করব না। তবে, আইন-শৃঙখলা বাহিনী যদি ব্যর্থ হয় তবে আমরা দেখব।’
এছাড়া পুলিশের তদন্তে ভোলার ঘটনার সত্য বেড়িয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন আদালত।
আদালতে আজ বিষয়টি নজরে আনেন আইনজীবী মো. রনিউল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
প্রসঙ্গত, রোববার (২০ অক্টোবর) ফেসবুকে মহানবী (সা.)-কে কটূক্তি করা নিয়ে ভোলায় জনতার বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত ও ১০ পুলিশসহ প্রায় দেড় শতাধিক আহত হন।
- আরও পড়ুন >> ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিলেন ক্রিকেটারা
ওই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবিদ হোসেন এ মামলা করেন।