আগামী নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলতে দেশটিতে সফর করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল । ৩ নভেম্বর দিল্লিতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে সফর। আর ২২-২৬ নভেম্বর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ইডেন গার্ডেনে টেস্ট দিয়ে শেষ হবে টাইগারদের ভারত সফর। এ টেস্টের প্রথম দিনে ইডেনে খেলা দেখতে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিগগির ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) হাল ধরছেন সৌরভ গাঙ্গুলী। তিনি জানিয়েছেন, ইডেন গার্ডেনে ঐতিহাসিক টেস্টের প্রথম দিন মাঠে হাজির থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দর্শক হিসেবে থাকার সম্ভাবনা আছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিরও।
২০০০ সালে প্রথম টেস্ট খেলে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। ঐতিহাসিক সেই টেস্টে স্বাগতিকদের অধিনায়ক ছিলেন নাইমুর রহমান দুর্জয়। আর সফরকারীদের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী।
সৌরভ বলেন, সেই টেস্টে অংশ নেয়া দুদলের সদস্যদের ওই দিন সংবর্ধনা দেয়া হবে। প্রথম দিনের খেলার শেষে হবে এ অনুষ্ঠান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দফতরর থেকে সম্মতি পেয়েছি। ২১ নভেম্বর রাতে উনি কলকাতায় আসবেন। কোনো কারণে ভিভিআইপিরা সকালে উপস্থিত হতে না পারলে বিকালে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে থাকবেন।
এখন পর্যন্ত ইডেন গার্ডেনে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণের কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। সঙ্গত কারণে ভারতের বিপক্ষে তাদের জন্য ম্যাচটি হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক। নিশ্চয় মুহূর্তটা আরও রাঙিয়ে তুলবে শেখ হাসিনা, মোদি-মমতার উপস্থিতি।
কিন্তু খটকার বিষয়, এর আগে হুট করে সরগরম বাংলাদেশের ক্রিকেটপাড়া। পারিশ্রমিক বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটে নামার হুমকি দিয়েছেন দেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। ফলে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের আসন্ন ভারত সফর ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার কার্যালয় একে ঘিরে কোনো আশঙ্কার ছায়া দেখছে না।
চলতি মাসের শুরুর দিকেই চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কলকাতা টেস্টে যাওয়ার সুবাদে মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই আবার ভারত সফরে যাচ্ছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই স্মরণীয় ম্যাচ দিয়ে টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে পথচলা শুরু হয় সৌরভের। সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ দিয়ে বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন তিনি।